রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছে আন্তর্জাতিক মহল। একই সঙ্গে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকেও এই হত্যার নিন্দা জানানো হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাগুলো। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে তার মৃত্যুর স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর এ ঘটনায় সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি কূটনীতিকদের। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তারা। বিশেষ করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসসিআর এ ঘটনার পর ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। বুধবার রাতে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।












