রহস্যজনক ‘হাভানা সিনড্রোম’ অসুস্থতার কিছু কিছু ঘটনায় স্পন্দিত তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তিই ‘সম্ভাব্য ব্যাখ্যা’ হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমপ্রদায়ের নতুন এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের দেহে যেসব রহস্যজনক উপসর্গের দেখা মিলছে তা কি কোনো যন্ত্রের কারণে হচ্ছে নাকি স্বাভাবিক মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে নতুন এ প্রতিবেদনটি এল। মার্কিন গোয়েন্দা সমপ্রদায়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সর্বসামপ্রতিক এ প্রতিবেদনে কর্মকর্তারা যেসব উপসর্গের কথা জানিয়েছিলেন সেগুলোকে সত্যিকারের ও বাদ দেওয়া যায় না এমন উপসর্গ হিসেবে উল্লেখ করেছেন; বাইরের কোনো উৎসের কারণে এগুলো হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
তবে কারা এজন্য দায়ী হতে পারে, প্যানেলটি সে খোঁজ করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি। ২০১৬ সালে কিউবার রাজধানী হাভানায় প্রথম মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা তাদের দেহে অনেকগুলো অস্বাভাবিক লক্ষণের কথা জানান। পরে এই লক্ষণ বা উপসর্গগুলোই ‘হাভানা সিনড্রোম’ নামে পরিচিতি পায়। আক্রান্তরা বলেন, তাদের হঠাৎ হঠাৎ মাথার ভেতর চাপ অনুভব করা ও নির্দিষ্ট একটি দিক থেকে আসা অদ্ভুত গুঞ্জন শুনতে পাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেকে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, তীব্র মাথাব্যথা ও স্মৃতি হারানোর মতো উপসর্গের কথাও জানিয়েছেন।