বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করা গোঁয়াছি বাগান এলাকায় কাঁচা ও আধা পাকাসহ তিন শতাধিক স্থাপনা রয়েছে। সব স্থাপনাই অবৈধ বলছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব স্থাপনার বেশির ভাগই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মচারীদের গড়ে তোলা। বহিরাগতও অনেকে রয়েছেন। বেশির ভাগই ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন।
বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনের জন্য জায়গাটি চূড়ান্ত হওয়ায় বিদ্যমান সব স্থাপনা এখন সরিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য সেখানকার বাসিন্দাদের নোটিশ করা হয়েছে জানিয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, অবৈধ স্থাপনা তুলে এখানে থাকছেন বা ভাড়া দিচ্ছেন; এমন তিন শতাধিক নাম আমরা পেয়েছি। যেহেতু এখানে বৈধ কোনও স্থাপনা নেই, সেহেতু সরকারি প্রয়োজনে নির্দেশ দেয়া মাত্রই তারা এসব স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে বাধ্য। এই মর্মে তারা সবাই আমাদের কাছে লিখিত দিয়েছে। আমরাও বলেছি খুবই শর্ট নোটিশে তাদের উঠে যেতে হবে। তারা তাতে রাজি হয়ে লিখিত দিয়েছে। এখন চীনা টিম ওই জায়গা পরিদর্শন করে স্থাপনা সরাতে বলেছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব এখানে কাজ শুরু করতে চায়। এজন্য আমরা স্থাপনা সরাতে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ করেছি। তাদের ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে তাদের সব স্থাপনা সরাতে হবে। জেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হচ্ছে জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনে চিঠি দিচ্ছি। আমাদের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে কেউ যদি নিজ থেকে উঠে না যায়, সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই সিরিয়াস। কারণ, শুধু জায়গা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ সময় ধরে এ বার্ন ইউনিটের কাজ হয়নি। এবার তারা জায়গাটি পছন্দ করেছে। শতভাগ তাদের অর্থ সহায়তায় বার্ন ইউনিটটি করে দিতে প্রস্তত রয়েছে। কাজ শুরুর কথাও বলেছে। সুতরাং আমরা চট্টগ্রামবাসীর জন্য এ সুযোগটি হাতছাড়া করতে রাজি নই। যেভাবেই হোক, আমরা জায়গাটি খালি করে তাদের বুঝিয়ে দিবো। এ কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।