স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংকটের স্বরূপ প্রসঙ্গে

কানাই দাশ | বৃহস্পতিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে সবচেয়ে তৃণমূল পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা মূলত গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরুর ইতিহাস দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক এমনকি প্রাক ঔপনিবেশিক আমলের। স্থানীয়ভাবে সামাজিক জীবনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য চালু রয়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যার অধীনে অনেকটাই নিরুপদ্রব ছিল গ্রামীণ জীবন।

অনেকটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়োজনে গড়ে ওঠা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কার্যকর রাখা বৃটিশদের শাসনের পক্ষে সহায়ক ছিল। পাকিস্তান আমলে দেশ গণতন্ত্রহীনতা, সামরিক শাসন ও জাতিগত শোষণ ও বৈষম্যে জর্জরিত থাকলেও বৃটিশ আমল থেকে চালু থাকা স্থানীয় সরকারের নিরপেক্ষ রূপ ও চরিত্র মোটামুটি অপরিবর্তিত ছিল এমনকি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও নিপীড়নের মধ্যেও সে সময়ের শতকরা ২০ জনের মত ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এ দেশে তৃণমূল বা গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল।

সমাজ ছিল আজকের তুলনায় অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক যা আমরা সে সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আদালত ও গ্রামীণ জীবনে প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু গণতন্ত্রের কথা বলে, বৈষম্য বিরোধী কথা বলে সব সম্প্রদায়ের মানুষের বিপুল আত্মত্যাগে অর্জিত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত স্বাধীন স্বশাসিত ও ক্ষমতায়িত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ক্রমে অবক্ষয়ের ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চোরাবালিতে হারিয়ে যাবার নির্মম অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি।

একটি ফেডারেল কাঠামোর অধীনে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা টেকসই গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত। আমাদের দেশ ও জনঘনত্বের দিক থেকে পৃথিবীতে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে। ফলে সীমিত ভূভাগ ও বহুমুখী সংকটে আমাদের দেশ ভারাক্রান্ত যে জন্য তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত। ছোট হলেও বাংলাদেশ জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মত স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামোয় বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত একটি সুমন্বিত ফেডারেল ব্যবস্থা এখানে চালু আছে বলা যায়। কিন্তু গত ৫০ বছরে আমাদের দেশে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। সামরিক বেসামরিক সরকারগুলো জনাদেশ ভিত্তিক জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার ধারে কাছেও যায়নি বরং ঢাকা কেন্দ্রিক চরমভাবে কেন্দ্রীভূত সম্পূর্ণ আমলা নির্ভর একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থার রাজত্ব চলছে দলমত নির্বিশেষে সব সরকারের আমলে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বাকশাল কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচিত, স্বশাসিত ও ক্ষমতায়িত জেলা গভর্ণরকে জেলা প্রশাসনের কার্যকরী প্রধান করে ঢাকা কেন্দ্রিক আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গেঁ গতিশীল ও জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক বিকেন্দ্রিকৃত শাসন ব্যবস্থা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড সে ব্যবস্থাকে আলোর মুখ দেখতে দেয়নি। সেই থেকে কেন্দ্রীভূত কার্যত গণবিচ্ছিন্ন আমলা নির্ভর ঔপনিবেশিক ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও একটি আলংকারিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দেশে চালু আছে।

বস্তুত বর্তমানে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আমলাতন্ত্রের পাশাপাশি এমপিতন্ত্রের আষ্ঠেপৃষ্ঠে বন্দী। আমাদের দেশে শহুরে এলাকা বাদ দিলে বিশাল গ্রাম পর্যায়ে জেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত যদি তিনস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু আছে ধরি তাহলে দেখা যাবে সেই ব্যবস্থা স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বারা চরমভাবে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত। পরোক্ষভাবে নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বস্তুত দুটি আলংকারিক পদে পরিণত হয়েছে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্তরের নির্বাচিত প্রধানদের মূলত কোন নির্বাহী ক্ষমতাই নেই। সে তুলনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের জন্মমৃত্যু ও উত্তরাধিকার সনদ প্রদান, হোল্ডিং ট্যাঙ সংগ্রহ, স্থানীয় পর্যায়ে সালিশী বিচার, আইন শৃঙ্খলা তদারকিসহ কিছু ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাট উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এঁদের ধরণা দিতে হয়।

সম্প্রতি সরকার স্থানীয় সরকার পরিষদ সমূহের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করার ব্যবস্থঘা চজালু করে বা এর রাজনৈতিকীকরণ করে পুরো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনাকে সংকীর্ণ ও সাধারণ মানুষকে একে অনাগ্রহী করে আমলাদের সুবিধা ও ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এই রাজনৈতিকীকরণ আমাদের গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও প্রতিবেশীসূলভ সম্পর্ক যেটুকু ছিল তা নষ্ট করে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে কেউ এক প্রতীকে ভোট দিলে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সৎ প্রতিবেশী সূলভ সম্পর্কের কারণে বিপরীত আদর্শের একজনকে স্থানীয় স্বার্থে ভোট দিচ্ছেন। নূতন এই ব্যবস্থা সেই সুযোগ বন্ধ করে আমাদের সামাজিক সংহতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। একদিন শাসক দলকে এর জন্য মনে হয় মূল্য দিতে হতে পারে। জনসমর্থনহীন স্থানীয় প্রতিনিধি আমলাতন্ত্রের জন্য সবসময় সুবিধাজনক। যেমন গণতন্ত্রহীনতায় বা এক এগারোর মতো পরিস্থিতিতে আমলাতন্ত্র সর্বেসর্বা হয়ে উঠে।

বর্তমানে উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাহীন করে রাখার কারণে। অধিকন্তু আইন সভার সদস্য হিসাবে সংসদ সদস্যরা এখন তাঁদের দায়িত্ব বর্হিভূত কাবিখা, টেস্ট রিলিফ, গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও তদারকিতেই ব্যস্ত থাকতে উৎসাহ বোধ করেন, ব্যস্ত থাকেন নিজ হাতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলিসহ উপজেলার সার্বিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণেসংসদ অধিবেশন, আইন প্রণয়ন এসব মৌলিক সংসদীয় কাজে বর্তমান সাংসদদের উৎসাহ নেই বললেই চলে। এ পরিস্থিতিতে জনগণের করের টাকায় চালু থাকা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। তৃণমূলে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকলে অবাধ নিরপেক্ষ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনের মাধ্যমে দলমতের উর্ধ্বে সৎ, নিরপেক্ষ ও সচেতন মানুষকে মানুষ বেছে নিতে পারে এবং এতে স্থানীয়ভাবে একটি অবৈরী, অসাম্প্রদায়িক সামাজিক বাতাবরণ তৈরি হয়। এছাড়াও ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে আর্থিক স্বনির্ভরতা, নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করে কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ কমিয়ে আনতে পারে। প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অরাজনৈতিক, আর্থিক ক্ষমতাসহ স্বয়ং সম্পূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার স্বাভাবিক গণ সম্পৃক্ততা দেশে সব ধরনের গণতন্ত্র বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তিকে দুর্বল করার একমাত্র পথ। কিন্তু বর্তমান সরকার দীর্ঘ শাসনে মুক্তিযুদ্ধের নামে বরং প্রতিপক্ষের স্বার্থের অনুকূলে উল্টো কাজটা করছে। সামরিক শাসক জিয়া রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য ‘ডিফিকাল্ট’ করে তোলার হুমকি প্রদান করে দেশে ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে নামান, রাজনীতিকে কেনাবেচার পণ্যে পরিণত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের দিয়ে দল গঠন করেন। তাহলে গণ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথে গণবিরোধী সরকারের খবরদারি, নিপীড়ন ও চাপ প্রতিরোধ এবং মানুষের ক্ষমতার কেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ ও ভীতি কাটিয়ে তোলা যায়? কোন পথে দেশে যে কোন স্বৈরশাসন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ক্ষমতায় আসার পথকে পাল্টা ডিফিকাল্ট করে দেয়া যায়পথ হলো উপজেলা থেকে তৃণমূল স্তরে নির্বাচিত স্বশাসিত, ক্ষমতায়িত, আর্থিকভাবে স্বনির্ভর, জবাবদিহিমূলক ও দল নিরপেক্ষ কার্যকর একটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু রাখার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তৈরি করা। নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যাতে মানুষের কাছে বারবার যেতে হয় সেজন্য স্থানীয় সরকারের মেয়াদ ৫ বছর থেকে ৩ বছর করা। এই সাথে অবশ্যই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের তাঁদের দাবী অনুযায়ী নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক উপদেষ্টার স্তরে নিয়ে যাওয়াসেক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃতই জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে হবে।

এ ধরনের শক্তিশালী গণমুখী পদক্ষেপ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে পাল্টে দেবেতারাই তখন এই ব্যবস্থাকে নিজেদের এলাকার সামগ্রিক স্বার্থে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে, তৃণমূলে দুর্বল হয়ে পড়বে গণবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। লক্ষ্য করার বিষয় জাতীয় নির্বাচনের চাইতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও উৎসাহ থাকে বেশি। কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভূতের মত এই সরকারের দীর্ঘশাসনে এই ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় জবরদস্তি ও রাজনৈতিকীকরণ মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করে তুলেছেলাভবান হচ্ছে অগণতান্ত্রিক শক্তি। ক্ষমতার মোহে এ পর্যন্ত নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সব সরকারগুলো স্থানীয় স্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কার্যকর না করে নিজেদের হাতে সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে পুরো দেশকে ঢাকামুখী করে দুর্নীতি, অনাচার, অব্যবস্থাকে স্থায়ী করে তুলেছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট এক রায়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধির আদেশ প্রদান করেছেন। কিন্তু আশংকা অনুযায়ী আপিল বিভাগের রায়ে তা স্থগিত হয়ে গেছে। সব আমলাকে অভিযুক্ত না করেও বলা যায় আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র বিগত ৫০ বছরে গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকৃত জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতেই মূলত কাজ করেছে। মুখে যাই বলুক কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ আমলা নিজেদের জনগণের প্রভু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট থেকেছেন। এমনকি দেশে বিরাজিত প্রচন্ড আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের মনমানসিকতা তুলে ধরে। এ ব্যবস্থা কিছুতেই সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজের সাথে যায় না। যেখানে জবাবদিহিতা থাকে না, সেখানে স্বৈরতন্ত্র নানাভাবে বাসা বাঁধে। হায়ারার্কি বা পরম্পরা হল আমলাতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। সেজন্য প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ, জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। কিন্তু প্রচলিত ব্যবস্থা যে পর্যায়ে দুর্বৃত্তায়িত ও অধঃপতিত হয়েছে তা থেকে একে তুলে আনা হবে একটি সুকঠিন বৈপ্লবিক কাজ। অথচ এ ছাড়া সংকট থেকে উত্তরণের কোন সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আজ অরাজনৈতিক, স্বচ্ছ, নির্বাচিত ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে টেকসই গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে। বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কর্মসূচির ঝুঁকিপূর্ণ অথচ কল্যাণকামী প্রশাসনিক স্পিরিটও ছিল ঠিক তাই। কিন্তু সারাদিন বঙ্গবন্ধুর কথা বলে এমন স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ড সর্বস্তরে চলছে যাতে করে বলা যায়, “তোমার পূজার ছলে তোমায় ভূলেই থাকি।”

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনস্বাস্থ্যখাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানচ্যুত হওয়া প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধঅ্যান্টার্কটিকায় পদচারণা বাড়াচ্ছে চীন