চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, ছোট ছোট বিরোধ স্থানীয় পর্যায়ে নিষ্পত্তি না হলে জনগণকে বারবার বিভিন্ন অফিস–আদালতে ঘুরতে হয়। এ কষ্ট লাঘব করতে স্থানীয় পর্যায়ে বিচারিক সেবা যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো মনোযোগী, মানবিক ও সেবামুখী হতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবা প্রত্যাশীরা যেন ভালো আচরণ ও প্রয়োজনীয় সেবা পান তা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অর্ধবার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভার আয়োজক ছিল জেলা প্রশাসন।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ পর্যায়ে সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিষ্ঠান। জনগণ যেন পরিষদের মাধ্যমে সরকারি সেবা সহজে পায় সেজন্য সেবা প্রদানের পরিবেশ আরো উন্নত করা প্রয়োজন। ছোটখাট অপরাধ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে চেয়ারম্যানদের প্রদত্ত আইনগত ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা ইপসার সহকারী পরিচালক ফারহানা ইদ্রিস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদুল আলম।
সভায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ১৯১টি ইউনিয়নের ১০ মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা। অগ্রগতি উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল আবছার এবং লেলাং ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খায়রুল আসলাম। সভায় চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৯১টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।












