নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে নিয়ম ১০ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকার চালু করেছিল, তা বাতিল করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। তিনি লিখেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। আজ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত এ সংক্রান্ত ৪টি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৫ সালে সিটি, পৌর, উপজেলা ও ইউপিতে দলীয় প্রতীকে ভোটের বিধান রেখে আইন সংশোধন করে। সেই আইন সংশোধন করে এবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোটের উদ্যোগ নেওয়া হল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দুপুরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও একই ধরনের দাবি আসছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন আইন ২০১৫ এর ৩২ ক ধারা, পৌরসভা আইন ২০১৫ এর ৩০ এর ‘ক’ ধারা, উপজেলা পরিষদ আইন ২০১৫ এর ১৬ এর ‘ক’ ধারা এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০১৫ এর ১৯ এর ‘ক’ ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর কোনো সুযোগ নেই। বিগত সময় দলীয় প্রতীক পাওয়া না পাওয়া নিয়ে অনেক হানাহানি মারামারি হয়েছে। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন যখনই অনুষ্ঠিত হোক, ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া যাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়। দলগুলো চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে পারে, অন্যথায় নয়।