চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেছেন, ১৮৮৫ সালে বৃটিশদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের যাত্রা শুরু হয়। আমরা স্থানীয় সরকারে বাস করি। স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিসর অনেক বিস্তৃত। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্থানীয় সরকারের সাথে সম্পৃক্ত। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে হলেও জন্ম–মৃত্যু নিবন্ধন স্থানীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত। তাই নাগরিক সেবায় স্থানীয় সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, গত জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে। ১৯টি দপ্তর/সংস্থা স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে কাজ করে। জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
গতকাল সকালে নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস–২০২৫’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তরুণদের দেশ গড়ার অঙ্গীকার, জনসেবায় স্থানীয় সরকার’। জেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন দিবসটির আয়োজন করেন। আলোচনা সভার পূর্বে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ উপলক্ষে সার্কিট হাউস থেকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. নোমান হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম। সভার শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিনসহ জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তা–কর্মচারী ও এনজিও প্রতিনিধিরা র্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেন।