শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফর। দুই সপ্তাহ টানাপোড়েনের পর এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আপাতত শ্রীলংকা সফরে যাচ্ছে না বাংলাদেশ। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, কোয়ারেন্টিনের শর্ত নিয়ে আগের অবস্থান বদলায়নি শ্রীলংকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিসিবিও তাই শ্রীলংকা ক্রিকেটকে (এসএলসি) জানিয়ে দিয়েছে, পরে সুবিধাজনক সময়ে নতুন সূচিতে সিরিজ আয়োজন করতে। তিন ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ খেলতে গত জুলাইয়ে শ্রীলংকায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে যায়। নতুন সূচিতে বাংলাদেশের রওনা হওয়ার কথা ছিল গত রোববার। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিয়ম নিয়ে বাধে বিপত্তি। বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন এত লম্বা সময় কোয়ারেন্টিন করে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি সম্ভব নয়। বিসিবি তাই লংকান বোর্ডকে অনুরোধ করে কোয়ারেন্টিনের সময় কমাতে।
কিন্তু এসএলসি ও শ্রীলংকার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নানা তৎপরতা চালালেও শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি। বিসিবি সভাপতি জানান ওদের ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কোন রফাদফা হয়নি। এটা যে কোনো টুরিস্টের জন্যই একই নিয়ম। এই জায়গায় ওরা বলেছে যে কিছুই করতে পারেনি। তাই ওদেরকে জানিয়ে দিয়েছি যে পরে সূচি আবার ঠিক করতে। যখন এই ধরনের শর্ত থাকবে না তখন আমরা যাব। দেশ থেকে চার দফায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েই শ্রীলংকায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। ওখানে গিয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আরেক দফা। তাই বিসিবির চাওয়া ছিল, কোয়ারেন্টিন যেন সর্বোচ্চ সাত দিনের হয় এবং তিন দিনের পর থেকে যেন আলাদা থেকে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ এখানে কোনো ছাড় দেয়নি। শ্রীলংকা কর্র্তৃপক্ষ ১৪ দিনের যে আইসোলেশনের কথা বলেছে তা আসলে পূর্ণ আইসোলেশন। ঘর থেকেই বের হতে পারবে না। এই অবস্থায় ১৪ দিন ঘরে থাকলে একজন ক্রিকেটারের শারীরিক এবং মানসিক যে অবস্থা হবে সেটি ফিরে পেতেই অনেক সময় লাগবে। এই অবস্থায় তাই আর সুযোগ নেই সফরের। আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি।