স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের ফের স্মারকলিপি

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২০ at ৭:২৪ অপরাহ্ণ

করোনা মহামারীর কারণে স্থগিত ও চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষাসমূহ দ্রুত গ্রহণের দাবিতে ফের স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ বরাবর এ স্মারকলিপি দেন তারা।
এসময় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
গত দুই মাস ধরে কয়েক দফা মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও অবস্থান কর্মসূচির পর গত ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্তে বলা হয় শীঘ্রই বিভাগীয় আলোচনার ভিত্তিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগে হবে এরপর আস্তে আস্তে বাকিগুলোও হবে কিন্তু দশদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো বিভাগ পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৫ তারিখ স্থগিত পরীক্ষার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিভাগে এখনো কোনো ধরনের অফিসিয়াল নোটিশ পাঠানো হয়নি।
প্রশাসনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে নোটিশ পৌঁছানোর পরই বিভাগগুলো স্থগিত পরীক্ষাসমূহ নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোর কারণে আমরা এসব চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
আর এর ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা আমাদের বেশীরভাগ শিক্ষার্থীকেই চরম হতাশা ও মানসিক অশান্তির মধ্য দিয়ে প্রতিটি দিন পার করতে হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে সামনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আইনের শিক্ষার্থী ফোরকানুল আলম বলেন, “কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এরকম চলতে থাকলে সামনে আমরা সরকারি-বেসরকারি অনেক চাকরির আবেদনও করতে পারব না। অনার্সে মাত্র একটি পরীক্ষার জন্য আটকে আছি। কর্তৃপক্ষের অনুরোধ আমাদের পরীক্ষার বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ নিন।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আতিকুর রহমান আজাদীকে বলেন, “শুনেছি শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিয়েছে। আমি তখন জরুরি কাজে বাহিরে ছিলাম।”
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান আজাদীকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি আমি পেয়েছি। আমরাও পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া বড় কথা না, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথাও মাথায় রাখতে হবে। প্রতিদিন অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যুবরণ করছেন। পরীক্ষার মধ্যে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় সেই দায় কে নিবে? শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে সব কিছু চিন্তা করতে হয় আমাদের। তবু আমরা শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে কাজ করছি। আগামী রবিবার এ ব্যাপারে মিটিং আছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ধর্ষণে তিনজনের যাবজ্জীবন
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ত্র মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিমনের জামিন