পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রের পুননির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপারের ৫টি বই নিয়ে যায়। এ পাঁচটি ব্যালট পেপারে ৫৫২টি অব্যহৃত ব্যালট পেপার ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ২৯ মে নির্বাচনের দিন কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ওই কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ কেন্দ্রে শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুর্ননির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত–কলম প্রতীকে ৫৬ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মো. দিদারুল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. হারুনুর রশিদ (আনারস) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪২ ভোট। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১০ হাজার ৩৯৯ ভোট। স্থগিত ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৫। ফলে চেয়ারম্যান পদে ভোটের ব্যবধান এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যার চেয়ে কম হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন হবে না।
উপজেলার ১২৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭ টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আবু ছালেহ মুহাম্মদ শাহরিয়ার শাহরু (উড়োজাহাজ)। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৫০ ভোট। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পটিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. এমদাদুল হাসান বই প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩ ভোট। এছাড়া ঝুলন দত্ত (চশমা) ১৯ হাজার ৮৮৯, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন (টিউবওয়েল) ১১ হাজার ৩০৭, সাইফুল হাসান টিটু (মাইক) ৭ হাজার ৩২৩, মোজাম্মেল হোসেন (টিয়া পাখি) ৬ হাজার ৭২৭, মুহাম্মদ বেলাল (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ৪ হাজার ৯৫৭ ও আশীষ তালুকদার (তালা) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৯ ভোট।
অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু (কলস)। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট। এছাড়া সাজেদা বেগম (প্রজাপতি) ২৪ হাজার ৭৩১, কানিজ ফাতেমা (পদ্ম ফুল) ২১ হাজার ১৩৭, সুমি দে (বৈদ্যুতিক পাখা) ১৪ হাজার ৫৩৬, নুর আয়েশা বেগম (ফুটবল) ১০ হাজার ৪৩ ও আফরোজা বেগম (হাঁস) ২ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছেন।