অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম–১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। এছাড়া নাটোর–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুদক। প্রথম মামলায় আসামি মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় মামলার মোস্তাফিজের সঙ্গে তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীও আসামি। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ৯টি ব্যাংকের ২১টি হিসাবের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি। তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৫টি ব্যাংকের ৬টি হিসাবে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মোস্তাফিজুরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ১ জানুয়ারি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।
বাসস জানায় : মহাপরিচালক জানান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী গৃহিণী হওয়া স্বত্বেও তার স্বামীর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপপ্রয়াসে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। যার অংশ হিসাবে আয়কর নথিতে প্রদর্শিত করে তার স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯ টাকার তথ্য গোপন করে স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।