বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহিন আকতার চৌধুরীর চারটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন বলেন, দুদকের উপ–পরিচালক মর্তুজা আল মামুন তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আবেদন করেন। আইনজীবী রেজাউল করিম আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন। খবর বিডিনিউজের।
আবেদনে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতৎ, নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক টিম গঠন করেছে। ওই অনুসন্ধান কার্যক্রম বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পলাতক মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রী তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে আয় বহির্ভূত অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছেন। সেটি যাতে না করতে পারেন সেজন্যই হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
চার ব্যাংক হিসাবের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নামে মতিঝিলে মধুমতি ব্যাংকের হিসাবে ৪২ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ২১২ টাকা অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। আর মোস্তাফিজুরের স্ত্রীর নামে মধুমতি ব্যাংকের মতিঝিল শাখার হিসাবে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৫ টাকা ও এবি ব্যাংকের হিসাবে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ১৪৫ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তার বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৫ টাকায়। সাবেক এই এমপির নিজ নামে টয়োটা, প্রাডো জিপ রয়েছে, যার মূল্য ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন রয়েছে, যার মূল্য ৮৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৪ একর জমি, নিজ নামে বরাদ্দকৃত রাজউকের ৩ কাঠার প্লট, ১৪ গণ্ডা অকৃষি জমি, চকবাজার সুপার মার্কেটে দোকান রয়েছে। স্ত্রীর নামে ৫ তলা বাড়ি, ঢাকার কাফরুলে ১৮৭২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।