হাটহাজারীতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে এক টেক্সি চালককে আটকের পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ঘটনায় রিনা আক্তার (২৮) নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকীয়া গ্রামের খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ওই এলাকার মৃত জহুর আলম সওদাগরের পুত্র দিদারুল আলম সোহাগ পারিবারিক কলহের জের ধরে তার তৃতীয় স্ত্রী ২ সন্তানের মা রিনা আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে। ঘটনার পর পর বাইরে বের হয়ে আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও পাথর নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাংচুর করে। পরে তাদের বড় মেয়ে সাথী আক্তার টিসার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন রিনা আক্তারের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা স্বামী সিএনজি টেক্সি চালক দিদারুল আলম সোহাগকে (৩৮) আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। বেলা ১২টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফায়েল গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভোরে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ পাঠান এসে স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি আগেও ২টা বিয়ে করেছিলেন। তারা চলে গেলে রিনা আক্তারকে বিয়ে করে সোহাগ। থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ও তার স্বামীকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।