স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

বন্দর এলাকায় গলাকেটে হত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৫ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বন্দরে বাসায় ফেরার পথে পোশাককর্মী চাঁদনী আক্তার খুনের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী সবুজ খন্দকার। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তিনি এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, ক্ষোভ থেকেই তিনি স্ত্রী চাঁদনী আক্তারকে গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করেছেন। এ জন্য নগরীর ফ্রিপোর্ট এলাকার একটি তামার দোকান থেকে খুনে ব্যবহৃত ছুরিটি সংগ্রহ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, গত ১ মাস ধরে তারা স্বামী, স্ত্রী আলাদা থাকছেন। স্ত্রী চাঁদনীকে নিজের কাছে আনার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া স্ত্রীর প্রতি তার নানা রকম সন্দেহ কাজ করছিল। সবমিলে তিনি পরিকল্পনা করে চাঁদনীকে খুন করেছেন। নিজে মাদকাসক্তএমনটা উল্লেখ করে বলেন, চাঁদনীর সাথে তার এসব নিয়ে কলহ ছিল। তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান দৈনিক আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর রাতে নগরীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধুমপাড়া এলাকা থেকে সবুজ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন বাকের আলী টেকের মোড় এলাকায় গলায় ছুরি চালিয়ে চাঁদনী আক্তারকে খুন করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন চাঁদনীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুলনার দাকোপ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা চাঁদনী। থাকতেন নগরীর বন্দর থানার উষাপাড়া মাজার এলাকায়। কাজ করতেন নগরীর ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায়।

চাঁদনীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে জড়ো হন তার স্বজনেরা। স্বজনদের মধ্যে চাঁদনীর বোন কাজলও ছিলেন। তিনি বলেন, স্বামী সবুজ খন্দকারই চাঁদনীকে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে কলহ ছিল। সবুজ খন্দকার নেশা করতেন। চাঁদনীকে প্রায় সময় মারধর করতেন। চাঁদনীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াদের একজন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারীকে পড়ে থাকতে দেখে আমরা কয়েকজন এগিয়ে যাই। গলায়, হাতে, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশে একটি ছুরিও পড়ে ছিল। আমরা দ্রুত একটি সিএনজি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার দাবিতে মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধগুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর