স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) তিন কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. রাজু আহমেদ নিজ কার্যালয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। আট আসামি হলেন এসএওসিএল’র ম্যানেজার (এডমিন) বেলায়েত হোসেন, সাবেক প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর এবং বর্তমান ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) কামরুল হোসেন, সাবেক উপ–ব্যবস্থাপক (হিসাব এবং বর্তমান উপ–ব্যবস্থাপক (নিরীক্ষা) আতিকুর রহমান, এমআই চৌধুরী এন্ড কোং (ডিটিজি) লিমিটেডের পরিচালক ফেরদৌস আরা, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফাইয়াজ ফারহান, নগরীর রাইফেল ক্লাব মার্কেটের ফেমাস ইলেক্ট্রিক এন্ড ইলেক্ট্রনিঙের প্রোপাইটর হারিছ উদ্দিন, নগরীর সদরঘাটের দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী রীতা চক্রবর্তী।
দুই মামলার একটির এজহারে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে বেলায়েত, কামরুল, আতিকুর, ফেরদৌস আরা ও ফাইয়াজ পরস্পর যোগসাজসে ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অন্যদিকে হারিছ, নারায়ণ ও রীতা ২৬ লাখ টাকার পৃথক তিনটি চেক তাদের হিসাবে জমা করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতে অপরাপর আসামিদের সহযোগিতা করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অপর মামলার এজহারে বলা হয়, আসামি বেলাল হোসেন, কামরুল হাসান ও আতিকুর রহমান পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার মাধ্যমে ১২ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।