গতকাল যারা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঢুকেছে তারা নিশ্চয়ই দ্বিধায় পড়ে গেছে। এটি স্টেডিয়াম নাকি টেরীবাজার কিংবা রেয়াজুদ্দিন বাজার। কারণ স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখ থেকে পুরো সামনের মাঠ জুড়ে ব্যানার আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এখনতো স্টেডিয়াম পাড়ায় কোন নির্বাচন নেই। তাহলে এত ব্যানার পোস্টার কেন। পরে দেখা গেল চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী গ্রুপের দ্বি–বার্ষিক নির্বাচন। সেটা আবার স্টেডিয়ামে কেন। সে প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। কারণ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারাও জানেনা এই প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কখন যে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে এসেছে।
তাই মেলা, কনসার্ট, বিয়ের সাথে এই মাঠে এবার যোগ হলো নানা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছির অনুশীলন মাঠ হিসেবে। যেখানে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক ছেলে মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা উভেন্ট অনুশীলন করে থাকে। তবে এখন খেলাধুলার চাইতে বিয়ে, মেলা, কনসার্ট কিংবা সবশেষ সংযোজন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের অনুশীলন হয় বেশি।
যে সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ সে সংগঠনের একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা সুন্দর এবং নিরাপদ হিসেবে এই সিজেকেএস অনুশীলন মাঠকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু
খেলার জায়গায় কেন নির্বাচন তেমন প্রশ্নের জবাবে ঐসব কর্মকর্তারা বলেন এই জায়গাটা খোলামেলা এবং অনেকটাই নিরাপদ। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল নির্বাচনের জন্য বুথ তৈরি করা হচ্ছে। ভোটারদের বসার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। আর তার মাঝেও কিছু ছেলে মেয়ে অনুশীলন করছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে। যে মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছিল প্রশিক্ষণ কিংবা অনুশীলনের জন্য সে মাঠে ছোটখাট অনেকগুলো ইভেন্টও আয়োজন করতো জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু এখন বেশিরভাগ সময় নানা অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ থাকে এই মাঠ। ফলে মূল স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে হয় সবগুলো ইভেন্ট। আর তাতে সে মাঠে চাপ পড়ে এবং শিডিউল মেলাতে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কোনমতেই অনুশীলন মাঠটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেনা নানা সরকারি কিংবা বেসরকারি অনুষ্ঠানের জন্য।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত আছে যদি মাঠ খালি থাকে কিংবা খেলাধুলার কোন ইভেন্ট না থাকে তাহলে নির্ধারিত ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে সবধরনের আইনি বিধি মেনে এই মাঠ ব্যহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের আগের দিন, অনুষ্ঠানের দিন এবং অনুষ্ঠানের পরের দিন তিন দিনের ভাড়া দিতে হবে। এই নির্বাচনের জন্য যারা মাঠ ব্যহার করছেন তাদের কাছ থেকে কোন ভাড়াও আদায় করতে পারবেনা সিজেকেএস। কারণ বরাদ্দ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা। গতকাল অনেক ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ক্ষোভের সাথে বলেন, আর কি কি দেখতে হবে এই মাঠে সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।