বাংলাদেশ ফুটবলে স্ট্রাইকারদের স্কোিিরং ক্যাপাসিটি খুবই দুর্বল। মাঠের পারফরমেন্সেই তা প্রমান করে। বিশ্বকাপ বাছাইকে সামনে রেখে এই স্কোরিংয়ের ব্যর্থতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে আটঁঘাঁট বেঁধে নেমেছে বাংলাদেশ। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পঞ্চম দিনে মাঠের অনুশীলন সেরেছে দল। সেখানেই দেখা গেছে খেলোয়াড়দের নিয়ে এ তৎপরতা। সাদ-আব্দুল্লাহরা উইং ধরে আক্রমণে উঠে ক্রস বাড়াচ্ছেন। হেডে, শটে জাল খুঁজে নিচ্ছেন মতিন, সুফিল, জুয়েলরা। বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রুপে সবচেয়ে কম গোল দেওয়া দল বাংলাদেশ। মাত্র ২টি গোল তারা দিয়েছে। সবশেষ নেপালে ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে এলেও প্রত্যাশিত গোল মেলেনি; তিন ম্যাচে দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। শনিবার দলের প্রতিনিধি হয়ে মোহাম্মদ জুয়েল জানালেন সুফিল-মতিন সবাই অনুশীলনে পেয়েছেন গোল। ‘যে ফরমেশনে কোচ আমাদের কাতারে খেলাবে, সেগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে। আজকে অনুশীলন ভালো হয়েছে। উইং দিয়ে বেশি আক্রমণ করার প্রস্তুতি হয়েছে। ক্রস দেওয়া হয়েছে, স্ট্রাইকাররা গোল করেছে, আজকের সেশনে এগুলোই ছিল।’ ‘সবাই স্কোর করছে। মূলত স্কোর কিভাবে করা যায়, উইং থেকে আক্রমণ, পেনেট্রেটিং পাস স্কোরিং টার্গেট করে এই অনুশীলন হয়েছে। এটা নিয়ে আজ প্রথম কাজ হয়েছে। অধিকাংশই স্কোর করেছে; সুমন, আমি, মতিন, সুফিল সবাই খুব ভালো ফিনিশিং করেছি। উইঙ্গার ও স্ট্রাইকারদের মধ্যে ভালো একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। সবাই বুঝছে, কে কোথায় যাচ্ছে, কোথায় পাসটা বাড়াতে হবে।’ প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে খেলা জুয়েলের এখনও জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। লিগে ৩ গোল করা ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড উন্মুখ হয়ে আছেন প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করতে। ‘যখন আমি জাতীয় দলে প্রথম খেলার সুযোগ পাব, প্রথম ম্যাচেই গোল করার চেষ্টা করব। স্কোরিংয়ের বেশি লক্ষ্য থাকে, সেটা ক্লাব হোক, জাতীয় দল হোক।’ প্রচন্ড গরমে অনুশীলন করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে গেলেও খুশি খেলোয়াড়রা। জুয়েল জানালেন কাতারে গিয়ে এই কষ্টের ফল পেতে চান তারা। ‘গরমে তো কষ্ট হয়ই। যেহেতু কাতারে খেলা, সেখানে গরম আরও বেশি। সে অনুযায়ী এখানে ট্রেনিং হচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু অনুশীলন ভালো হচ্ছে।’