স্কুল ফটকের দুই পাশে আবর্জনার ভাগাড়

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

স্কুল ফটকে নামার আগেই মুখ চেপে ধরে কোনোমতে প্রবেশ করছেন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়া ফারহানা। দ্রুত হেঁটে রাস্তাটুকু পার হতে পারলেই যেন স্বস্তি। ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয় তার। শুধু ফারহানা নয়, তার মতো রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সাপলেজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫৭ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে প্রতিদিন এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শান্তিরহাট বাজার থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় মূল ফটকেই রাস্তার দুই পাশে আবর্জনার স্তূপ। খোলা জায়গায়, শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিনের ব্যাগে ঠাসা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাশের শান্তিরহাট বাজার ও বাসাবাড়ির আবর্জনা ফেলা হয় এই স্কুলের ফটকেই। এতে স্কুল ফটকটি আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব আবর্জনার ফলে স্কুলে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে দুর্গন্ধে নাকাল হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভোগান্তির পাশাপাশি এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ওই স্কুলের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বছরের পর বছর এভাবে চলে এলেও যেনো নির্বিকার সংশ্লিষ্টরা।
সাপলেজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চোটন কান্তি বড়ুয়া বলেন, এসব ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আশেপাশের দোকানিরা এসব ময়লা ফেলে রাখে। তাদের ময়লা না ফেলতে অনেকবার বলা হলেও তারা শুনে না। শান্তিরহাট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাজার সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিটি দোকানে গিয়ে অনেকবার বলা হয়েছে। বলার পর কয়েক দিন ঠিক থাকলেও আবারও দোকানদাররা ওই স্থানে ময়লা ফেলা অব্যাহত রাখে।
এই বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস। তিনি তাৎক্ষণিক স্কুল ফটকটি পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দের। এ সময় কারা ওই স্থানে আবর্জনা ফেলছে তাদের চিহ্নিত করারও নির্দেশনা দেন। ভবিষ্যতে যারা এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযে মাছ ঘুরে বেড়ায় হাতের সাহায্যে
পরবর্তী নিবন্ধপালিয়ে থাইল্যান্ডে আরও মানুষ