জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী সকলকে শিশু হিসেবে বিবেচিত করা হয় অর্থাৎ যারা নিজেদের ভালো-মন্দ বিবেচনা করতে সক্ষম নয়। স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং এই পর্যায়ে একজন শিশুর নিজেকে গঠন ও ভবিষ্যৎ গঠন করার মুখ্যম সময়। কিন্তু সময় ও কালের বিবর্তনে বিষয়গুলো পরিবর্তন হয়েছে যার কারণে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র দ্বিধাগ্রস্ত। বর্তমানে দেশে বিষবাষ্পের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র রাজনীতি। যেহেতু কিশোর বয়সে ছেলেরা পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চাই তাই কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতারা তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। অন্যদিকে কিশোররা রাজনীনৈতিক নেতাদের সাথে চলাফেরা করে নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করে। ফলশ্রুতিতে নিজ সহপাঠী সহ অন্যদের সাথে প্রতিনিয়ত মারামারি, হানাহানি করে নিজেদের দাপট দেখানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও তাদের মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি সেটার অর্থ জোগানোর জন্য চুরি ডাকাতির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে গিয়ে নিজেদের ভুল বুঝতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে তরুণদের সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিলীন হয়ে যায়। তাই তথাকথিত ক্ষমতার নামে অভিশপ্ত ছাত্র রাজনীতি থেকে কিশোর ও স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রক্ষা করতে পরিবারকে বেশি সচেতন হতে হবে পাশাপাশি সরকারকে ছাত্র রাজনীতির নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিতে হবে। বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে কোমলমতি শিশুরা রাজনীতির বলির পাঠা না হয়। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাই দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ও সরকারকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী