বাছারে আমার স্কুলে আজ যেতে চাস নে তুই
বকুনি দিয়ে নিয়ে গেলাম স্কুলে,
আহা, সে তো স্কুল ছিল না
দিয়ে আসলাম যমের ঘরে!
বাছারে আমার স্কুলে যাওয়ার পথে
হাওয়ায় মিঠা খেতে চেয়েছিলি
বলেছিলাম, ‘ছুটির সময় নিয়ে দিব বাবা’
ছুটি শেষে তো বাছা আমার ছাই হয়ে উড়ে গেলি।
বাছাধন আগুনের ফুলকিতে তোর গায়ে কি ঠোসা পড়েছিল!
আহারে বাচাধন কেমন করে
তখন যন্ত্রণায় হাউমাউ করে কেঁদেছিলি!
কেমন করে তখন মা–বাবা–বলে চিৎকার করেছিলি!
দূর থেকে কেন এ চিৎকার শুনিনি হে খোদা!
দূর থেকে কেন দেখিনি আমার বাচাধনের ছটফটানি!
এ কান ধ্বংস করে দাও খোদা!
এ চোখ অন্ধ করে দাও খোদা!
সবশেষে আমার বাছাধনের কাছে নিয়ে যাও হে খোদা!
যেখানে স্বর্গের বাগানে আমার বাছাধন
খিলখিলিয়ে হাসছে, খেলছে
দুধের সাগরে স্নান করে সমস্ত যন্ত্রণা
পোড়া দাগ ধুয়ে মুছে গেছে।
আমাকে সেই স্বর্গের দেশে নিয়ে যাও,
এই বিভিষীকাময় পৃথিবীতে আকাশে বাতাসে
চারিধিকে শুধু পোড়ার গন্ধ, লাশের গন্ধ!
আমি এই বিভীষিকাময় পৃথিবীতে
আর থাকতে পারছিনা!
আর থাকতে চাই না..!
হয়, আমার বাছাধন ফিরিয়ে দাও
না হয়, আমায় সেখানে নিয়ে যাও।