আমাদের ছাত্র সংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এ মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের। আর এজন্য স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। চলমান বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পর গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করি না কেন, সেই সময়ের আগে করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নেব না। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছি। তাতে মানুষের চলাচলের প্রয়োজনীয়তা বা বাধ্যবাধকতা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকাটা স্বস্তিদায়ক। অপর এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বিকল্প ব্যবস্থাগুলো চিন্তা-ভাবনা করছি। যে রকম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অনলাইন পরীক্ষা, অনলাইন ক্লাস চলমান। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনা করলেও মহামারীর কারণে দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হয়েছে। সর্বশেষ ২৬ মে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, মহামারী পরিস্থিতি খুব বেশি প্রতিকূল না হলে আগামী ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
ফের আন্দোলনে সাত কলেজ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার ঢাকার নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, জুনের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে লাগাতার আন্দোলনে যাবেন তারা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার খাটিয়া মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সাত কলেজের একদল শিক্ষার্থী গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঘুরে নীলক্ষেত পেট্রোল পাম্পের সামনে সমাবেশ করেন। একই দাবিতে সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান শেষে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই চলছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতেই করোনার দোহাই দেওয়া হচ্ছে। সেশনজট নিরসন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। আমাদের শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চতায় ফেলে তারা বারবার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাচ্ছে। জুনের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশের ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে খাটিয়া মিছিলের ঘোষণা : স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ‘খাটিয়া মিছিলের’ কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুরে ‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও আন্দোলন’ ব্যানার নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের একটি সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।












