স্কুলে স্কুলে গিয়ে দেওয়া হবে টিকা

ফাইজারের কোভিড পিলও নেবে বাংলাদেশ টিকায় খরচ জানাতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

স্কুলশিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা পাওয়ার সুবিধায় এবার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের পিল যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছ থেকে অনুমোদন পেলে বাংলাদেশেও তা আনার উদ্যোগ নেবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে কয়েক মাস আগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা কেনার খরচ প্রকাশ করে আলোচনার জন্ম দিলেও জাতীয় সংসদে এ খাতে ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করলেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ও জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, স্কুলে স্কুলে না গিয়ে একটা কেন্দ্রে আশপাশের অন্তত পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে সমস্যা হচ্ছিল। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেসব স্কুলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র নাই, আমরা কেন্দ্র করতে পারি নাই, ওই স্কুলে স্কুলে আমাদের টিম চলে যাবে, সেখানে টিকা দেবে। এখন যে কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়া হচ্ছে, তাও চলবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাই দেওয়া হবে।
ফাইজারের টিকা হিমাঙ্কের নিচে ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এই টিকা দিতে হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। এ অবস্থায় এই টিকা সবগুলো স্কুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছি। এটা একটা চ্যালঞ্জ, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। আমাদের স্কুলের শিশুদের টিকা দিতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, আমরা নেব।
এ মাসের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার জানায়, তাদের তৈরি অ্যান্টিইরাল পিল প্যাঙলোভিড ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে (পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে। এখন প্যাঙলোভিড বাংলাদেশে আনা হবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ওষুধটি যদি এফডিএ, ডব্লিউএইচও অ্যাপ্রুভড হয় তাহলে তা ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
করোনাভাইরাসের টিকা কেনার খাতে ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করলেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে করোনাভাইরাসের কত টিকা এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, সে তথ্য সংসদকে দিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতার নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্টোবর মাসে রেকর্ড ১৪.৫৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন
পরবর্তী নিবন্ধজাকারবার্গকে বাংলাদেশি আইনজীবীর উকিল নোটিস