খোলার প্রথম দিনে গেটে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। থার্মাল থার্মোমিটারে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে প্রবেশ করানো হয়। তবে খোলার প্রথম দিন স্কুলে এসেও ফেরত যেতে হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরের তাপমাত্রা বেশি এবং কাশি থাকায় এসব শিক্ষার্থীকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। নগরীতে এ ধরনের অন্তত তিনজন শিক্ষার্থীর খোঁজ মিলেছে; প্রথম দিন স্কুলে এসেও যাদের বাসায় ফেরত যেতে হয়েছে।
এর মাঝে ৫ম শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী ভর্তির পর প্রথমবারের মতো স্কুলে এসেও ক্লাস করতে পারেনি। এ দুজনের একজন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের এবং আরেকজন হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাসায় ফেরত যাওয়া অপর একজন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢোকানোর আগে গেটে তাপমাত্রা মেপে দেখা হয়। ওই সময় ৫ম শ্রেণির একজন ছাত্রের শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায়। তার কাশিও ছিল। ৮ম শ্রেণির আরেকজন ছাত্রের তাপমাত্রা বেশি না থাকলেও কাশি ছিল। অভিভাবকদের সাথে কথা বলে দুজনকেই আমরা বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। আইসোলেশনে রাখাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অভিভাবকদের বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা ১৪ দিনের ছুটিতে থাকবে। অন্য শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার স্বার্থে এ ব্যবস্থা বলে জানান তিনি।
৫ম শ্রেণির একজন ছাত্রের শরীরের তাপমাত্রা একশ’র বেশি পাওয়া যায় জানিয়ে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ওই ছাত্রকে বুঝিয়ে০ বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। তার অভিভাবকের সাথেও কথা বলেছি। ভর্তির পর তার প্রথমবার এই স্কুলে আসা। কিন্তু প্রথম দিনই তাকে ফিরে যেতে হলো। বাকি সবার তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তারা ক্লাস করে বাসায় ফিরেছে।












