ভূমিকা : বিদ্যালয়গামী শিশুরা সমাজের এক বৃহৎ (প্রায় ২৫%) অংশ। স্কুলজীবনে শিশু শারীরিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, মানসিকভাবে বিকাশপ্রাপ্ত হয়। একজন মানুষের পরবর্তী জীবন বহুলাংশ নির্ভর করে স্কুল–স্বাস্থ্যের ওপর। এই বয়সের সামান্য বিপত্তি পরবর্তী জীবনে দীর্ঘ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন– পরিবেশগত দূষণ, সুষম খাদ্যপুষ্টির অভাব, সংক্রামক ব্যাধির আক্রমণজনিত ক্ষত।
* এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন নীরোগ দেহ, নির্মল মন। তাই বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য রোগ–প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, হাইজেনিক পরিবেশ, পরিশ্রুত পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত, যথাযথ পয়নিষ্কাশন, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা প্রবর্তন একান্ত জরুরি। ‘স্কুলস্বাস্থ্য সহায়তা কর্মসূচি’র মাধ্যমে যার রূপায়ন সম্ভব।
* এক জায়গায় একসঙ্গে থাকার কারণে স্কুল–শিশুদের ‘স্কুল হেলথ্্ সার্ভিস’ এর আওতায় আনা সহজ। এদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে দরকার– নিয়মিত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, দৃষ্টি ও শ্রবণ স্ক্রিনিং, ডেন্টাল চেকআপ, অপুষ্টি মোকাবিলা, যে কোনো ধরনের দৈহিক–মানসিক অস্বাভাবিকতা আগেভাগে শনাক্তকরণ, এবং ফলোআপ কেয়ার। ‘স্কুলস্বাস্থ্য টিম’ চাইলে এসব কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালন করতে পারে।
* বিদ্যালয়ে প্রতি ৫ জনে ১ জন শিক্ষার্থী কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পতিত হয়। এক্ষেত্রে ‘স্কুল ক্লিনিক’ কর্তৃক অধ্যয়নরত শিশুদের শারীরিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনে ল্যাব–টেস্ট করিয়ে সময়মতো চিকিৎসা–ব্যবস্থাপনা খুব কার্যকর। যা অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিতে সক্ষম।
* স্কুলের জীবনধারায় ছাত্র–ছাত্রীরা নতুন অনেক কিছু শেখে। যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে তাদের উদ্বুদ্ধ করা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এসব জ্ঞান পরবর্তীতে এরা ঘরে ও সমাজে প্রয়োগ করে। এভাবে দেশব্যাপী স্বাস্থ্যকর পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলা যায়। যার ইতিবাচক প্রভাব পরিষ্ফুটিত হয় দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসূচকে।
* বিদ্যালয়ে দৈহিক, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি, স্কুল রোগতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা কর্ম চালু করা উচিত। অচিরে প্রয়োজন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে ‘বিদ্যালয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা’ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা।
* স্কুলশিক্ষার মতো স্কুলস্বাস্থ্যও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। সুস্থ শিশু = সেরা শিক্ষার্থী । সুস্থ শিশু–শ্রেষ্ঠ জাতি বিনির্মাণের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ।
স্কুলস্বাস্থ্য সহায়তা কর্মসূচি :
* স্কুলস্বাস্থ্য কর্মী– প্রতিটি স্কুলে টিমে ২ থেকে ৩ জন শিক্ষক থাকবেন– কমপক্ষে ১ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা, (বিশেষত যাঁদের স্বাস্থ্য–বিজ্ঞানের পটভূমি (জীববিজ্ঞান/হাইজিন) বিষয়ে পড়াশোনা আছে। স্কুল হেলথ কো–অর্ডিনেটরদের সহায়তা করবেন কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী, যাদের বেশিরভাগই সিনিয়র ক্লাস থেকে, শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচিত।
* কর্মীদের প্রশিক্ষণ–প্রতিটা স্কুলে ‘স্কুল–স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী নির্বাচন করা। সাথে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের ‘সাপোর্ট স্টাফ’ হিসাবে সহায়তা করার জন্য শিক্ষকদের দ্বারা চিহ্নিত করা। ‘স্কুল–হেলথ’ কর্মীদের মূল গ্রুপের জন্য ১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা। সেখানে তাদের স্কুল শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, দৃষ্টি ও শ্রবণ স্ক্রিনিং, ডেন্টাল চেকআপ, অপুষ্টি শনাক্তকরণ, যে কোনো ধরনের দৈহিক–মানসিক অস্বাভাবিকতা শনাক্তকরণ এবং ফলো–আপ চিকিৎসার পদ্ধতি সম্পর্কে দক্ষতা শেখানোর প্রক্রিয়া যুক্ত হবে। তাদের কাছে স্বাস্থ্য–রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের সরঞ্জাম থাকবে। তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী বেসিক কার্ডিও–পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে সমাপ্তির সার্টিফিকেট পাওয়া দরকার।
* সরঞ্জাম– ওজন মেশিন, উচ্চতার জন্য টেপ পরিমাপ, থার্মোমিটার, দৃষ্টি স্ক্রিনিংয়ের জন্য স্নেলেন চার্ট, শ্রবণ স্ক্রিনি, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ‘স্কুল হেলথ ম্যানুয়াল’, এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য–রেকর্ড তথ্যভুক্তির জন্য একটি ‘শিক্ষার্থীর লগবুক’। চলমান প্রশিক্ষণের জন্য বিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের চলমান প্রশিক্ষণের জন্য সিপিআর এবং প্রাথমিক চিকিৎসা কিট সরবরাহ করা।
* মোনিটোরিং– যেসব প্রশাসক ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করছেন, তাদের নিয়মিত বিরতিতে স্কুল–স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা।
* নির্দিষ্ট যত্ন–স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, এনজিও এবং স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকদের সাথে যোগাযোগ করে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিনামূল্যে বা কম খরচে যত্ন প্রদান করা।
* তহবিল– স্কুলস্বাস্থ্য প্রোগ্রামের ব্যয় প্রাথমিকভাবে স্কুল স্পনসর দ্বারা বহন করা। অন্যান্য স্থানীয় দাতাদের দ্বারা অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহ করা।
* স্কুলস্বাস্থ্য সমন্বয়কারীদের ভূমিকা ও দায়িত্ব : শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন, শিক্ষাগত অগ্রগতিতে বাধা তৈরি করতে পারে এমন স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি শনাক্তকরণ, শিশুর যে কোনও অস্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফলাফলগুলি তাঁর পিতামাতার সাথে যোগাযোগ ও সমাধান, শিশুর শনাক্তকৃত অস্বাভাবিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি কমিউনিটি চিকিৎসকদের কাছে রেফারেল করা, খেলার মাঠের নিরাপত্তা এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের যথাযথ শরীরচর্চা নিশ্চিত করা, হতাশা বা অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য–সমস্যা আগেভাগে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা প্রতিরোধের পরিকল্পনা গ্রহণ, তামাক বা ড্রাগ ব্যবহারের ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের শনাক্ত এবং স্বাস্থ্য–ঝুঁকি এবং ড্রাগস্ আসক্তি রোধে পরামর্শ দান প্রভৃতি।
স্কুল হেলথ সার্ভিস : স্কুলে পড়ুয়াদের মেডিকেল চেকআপ : স্কুলে ভর্তির সময়ে ও পরবর্তীতে প্রয়োজনমাফিক প্রতিটা শিশুর প্রতিনিয়ত চেকআপ প্রয়োজন। যেসব শিশু শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন, তাদের আগেভাগে শনাক্ত করে (প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে) চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা। স্কুলবয়সে বয়ঃসন্ধিকালের কিছু অসুখ যেমন– মেরুদণ্ডের রোগ, মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশানস ইত্যাদির সন্ধানে শারীরিক চেকআপ ও রুটিন পরীক্ষা করানো দরকার।
* দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির পরীক্ষা : শিশুর পড়ালেখার সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রধান দুটো কারণ– চোখে দেখা ও কানে শোনার সমস্যা। যা স্কুলবয়সে প্রাথমিক স্তরে নির্ণয় হওয়া উচিত। সাধারণভাবে স্কুল নার্স দ্বারা এসব পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যায় ও দরকার হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করে বিশেষ পরীক্ষা–নিরীক্ষাদি (যেমন অডিওমেট্রি) করানো যেতে পারে।
* সংক্রমণ প্রতিরোধে : বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার সহজ জায়গা হলো স্কুল। কোনো শিশু সংক্রামক অসুখ নিয়ে স্কুলে এলে, তাকে ক্লিনিক্যাল উন্নতি না হওয়া ও স্যাম্পল পরীক্ষায় জীবাণুর অনুপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসা নিবৃত্ত করা উচিত। শিশু যক্ষ্মাক্রান্ত হলে পুরোসময় ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করানো। প্রতি তিন–চার মাস পর নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের একটি করে কৃমির বড়ি খাওয়ানো। প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এর সাহায্য গ্রহণ। যেসব ছাত্র–ছাত্রী সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে আছে, তাদের জন্য প্রতিষেধক টিকাদানের ব্যবস্থা করা।
* স্বাস্থ্য শিক্ষা : স্কুল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণে বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে একবার স্বাস্থ্য–শিক্ষামূলক অধিবেশনের আয়োজন। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধমূলক বিশেষ স্বাস্থ্য কর্মসূচি। অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধে গৃহীত কৌশলের বাস্তবায়ন। শিশুকে পরিচালনার জন্য মনোসামাজিক শিক্ষা বা শিশু সাইকোলজির প্রয়োগ– বিশেষত আচরণজনিত সমস্যার শিকার শিশুদের ক্ষেত্রে।
* স্বাস্থ্য ডায়েরি : প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি ‘স্বাস্থ্য ডায়েরি’ থাকা উচিত। ডায়েরিতে শিশুর নাম, জন্মতারিখ, মা ও বাবার নাম–ঠিকানা, ফোন নম্বরসমূহ লিপিবদ্ধ রাখা। প্রতিবছর শিশুর ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ এবং গ্রোথ চার্ট এর ব্যবহার ও ডায়েরিতে লিখে রাখা। সেখানে শিশু যেসব টিকা পেয়েছে, তারিখ সমেত তার উল্লেখ থাকা।
* স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন : বছরে অন্তত একবার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মনোরোগ, দন্ত, চক্ষু, নাক–কান–গলা প্রভৃতি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নিয়ে ‘স্বাস্থ্য–ক্যাম্পে’র আয়োজন। গঠিত স্বাস্থ্য–ক্যাম্পে বিশেষ স্বাস্থ্য–কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়। স্কুল চিকিৎসক ও নার্স প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী ‘বিশেষ সাহায্য–সহযোগীতার’ শিশু শনাক্তকরণ ও রেফার করা।
স্কুল ক্লিনিক :
বিদ্যালয়ে শিশু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে, বমি, ডায়রিয়া, খিঁচুনি বা দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ ও ওষুধের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে করে বিপদ লাঘবের সুযোগ থাকে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন : রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, বা সম্ভব হলে কোনো শিশু–চিকিৎসককে স্কুলের ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। সময়ে সময়ে তাঁকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ট্রেনিং কোর্সে সংযুক্ত করানো হলে তাঁর অর্জিত দক্ষতা সুফল বয়ে আনে। এছাড়া পার্টটাইম সার্ভিসের আওতায় অন্যান্য বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের চিকিৎসকদের যেমন– নাক–কান–গলা ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ, স্পিচ–থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট এর সহযোগিতা নেওয়া যায়।
স্কুল নার্স : অনেক স্কুলে নিয়মিতভাবে সিনিয়র অভিজ্ঞ স্কুল–নার্স ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পার্ট–টাইম বেসিসেও স্কুল–নার্স নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। স্কুল নার্সের দায়িত্ব সমূহের মধ্যে রয়েছে–
* প্রতিটা শিশুর স্বাস্থ্যগত ইতিহাস নেওয়া, শিশুকে পরীক্ষা করা।
* স্কুলের স্টাফ থেকে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিষয়াদি জেনে নেওয়া।
* যেসব শিশু শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত তাদের ফলোআপ করা।
* শিশুর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যকর খাবার–দাবার, ত্বক, হাত–পা, চুল, দাঁত, মুখ প্রভৃতি যত্ন নেওয়া বিষয়ে পরামর্শ দান।
* শিশুর উচ্চতা এবং ওজন নির্ণয় করে শিশুর বৃদ্ধি–বিকাশ চার্টে লিপিবদ্ধ করা।
* যেসব স্কুল সেন্টারে সুযোগ আছে সেখানে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করে দেখা।
* স্কুল হাইজিন ও পরিবেশ নিয়মিত তদারকি করে স্কুল নার্স ডেঙ্গু মহামারির মতো রোগ বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারেন।
দরকার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ : বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যেমন –
* বিদ্যালয়ে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ।
* নিরাপদ প্রাচীর বা ঘেরসহ পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো–বায়ুপূর্ণ নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ইউরিনাল ও শৌচাগার। নিরাপদ সুপেয় পানি। পরিচ্ছন্ন টিফিন রুম।
* স্কুলস্বাস্থ্য– শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নির্দেশিকা গ্রন্থ, যা স্কুল পড়ুয়াদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এতে হ্রাস পায় তাদের অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি।
লেখক
প্রফেসর ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল