রাঙ্গুনিয়ায় জমির উদ্দিন মানিক (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক ৮ম শ্রেণির এক কিশোরীর সাথে বিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার স্কুলছাত্রের মা মিনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে তাদের ছেলেকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিখোঁজ মানিক উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গুয়াজপাড়া এলাকার মো. নাজিমের ছেলে। জানা গেছে, কিশোর-কিশোরী দুজনই বেদৌরা আলম চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মানিকের মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপর সে বেরিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খবর আসে, একই ওয়ার্ডের বহদ্দারপাড়া এলাকায় এক কিশোরীর বাড়িতে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। পরে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় মানিকের বাবা-মা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাদের সন্তানকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
মারধরের কারণ জিজ্ঞেস করলে তাদের বলা হয়, ওই কিশোরীর সাথে মানিকের প্রেমের সম্পর্ক আছে। মানিক আর ওই কিশোরীর বিয়ে দিতে চান তারা। তখন মানিকের পরিবার ‘বয়স কম’ উল্লেখ করলে তারা ক্ষেপে যায় এবং তাদের এক আত্মীয়কে মারধর করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি মীমাংসা করার আশ্বাস দেন।
তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে মানিক ও ওই কিশোরীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। নিখোঁজ মানিকের মায়ের দাবি, তাদের ছেলেকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে মেয়েটির পরিবার। সেজন্য তার সন্তানকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শিলক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং স্কুল শিক্ষার্থী। সুতরাং জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিলক তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।