ক্লাব বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেল স্পেনিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। সৌদি ক্লাব আল–হিলাল রুখে দিলে রিয়ালকে। ফ্লোরিডার মায়ামি গার্ডেন্সে গত বুধবার কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়া খেলতে নামা রিয়ালকে ১–১ গোলে রুখে দিয়েছে আল–হিলাল। দুটি গোলই হয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধে। গন্সালো গার্সিয়া রেয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন রুবেন নেভেস। শেষ দিকে ভালভের্দের পেনাল্টি আটকে দলকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট এনে দেন মরক্বান গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ইউরোপের ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের তারকাসমৃদ্ধ দলের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী শুরু করে আল–হিলাল। দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। কিন্তু মিলিনকোভিচ–সাভিচের বুলেট গতির শটটি ঝাঁপিয়ে রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রথম ১০ মিনিটে পাঁচটি শট নেওয়া আল–হিলাল দশম মিনিটে আবারও দারুণ সুযোগ তৈরি করে। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে মার্কোস লিওনার্দোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ইনজুরির ছোবলে রক্ষণভাগ নিয়ে মৌসুম জুড়ে ভুগতে দেখা গেছে রিয়াল মাদ্রিদকে। এখানেও সেই একই দশা চোখে পড়ে। ১৯ মিনিটে আবারও তাদের রক্ষণ ভেঙে ফেলে আল–হিলাল, জালে বলও পাঠায় তারা; কিঞ্চিৎ ব্যবধানে রেনান লোদি অফসাইডে থাকায় বেঁচে যায় রেয়াল। প্রবল চাপে ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তেমন কোনো আক্রমণই শাণাতে পারছিলেন না ভিনিসিউস–রদ্রিগোরা। প্রথমার্ধের কুলিং ব্রেকের পর অবশ্য তাদের মধ্যে সতেজতার ভাব ফেরে। পুনরায় খেলা শুরুর পরপরই ৩২ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ শাণায় তারা। রদ্রিগোর দূরপাল্লার শটটি ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় রিয়াল। রদ্রিগোর দারুণ এক পাস পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় দলকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড গন্সালো গার্সিয়া। পাল্টা আঘাত হানতে খুব বেশি সময় নেয়নি আল–হিলাল। তাদের আরেকটি আক্রমণ রুখতে গিয়ে ডি–বক্সে লিওনার্দোকে ফাউল করে বসেন রাউল আসেন্সিও। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন রুবেন নেভেস। বিরতির আগে আরেক দফা বেঁচে যায় রিয়াল। সালেম আল দাওসারির বাঁকানো শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আসেন্সিওর বদলি নেমে প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন আর্দা গিলের, তবে তার শট ক্রসবারে বাধা পায়। পরক্ষণেই গন্সালো গার্সিয়ার কাছ থেকে হেড গোললাইনে ঠেকিয়ে দেন ইয়াসিন বোনো। প্রথমার্ধে কোণঠাসা রিয়াল বাকি সময়ে পরিষ্কারভাবেই আধিপত্য করে। গোলের জন্য অনেক শটও নেয় তারা, যদিও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে খুব বেশি বেকায়দায় ফেলতে পারেনি।