ফিফার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। বাফুফের জরুরি সভায় গতকাল সোমবার সিদ্ধান্ত হয়েছে সোহাগকে আর কখনও বাফুফেতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এমনকি তিনি বাফুফে ভবনে কখনো ঢুকতেও পারবেন না। জরুরি সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে পরবর্তীতে তিনি যেন এই ফেডারেশনে আর কোনো কাজ করতে না পারেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ওই জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. ইমরান হোসেন তুষারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে যারা কাজ করছেন তারা প্রত্যেকে যার যার ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মো. ইমরান হোসেন তুষার যিনি সভাপতির সঙ্গে কাজ করছেন প্রটোকল অফিসার হিসেবে তাকে আমরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে তিন মাসের দায়িত্ব দিচ্ছি। সর্বোচ্চ ৬ মাস। এর মধ্যে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেবো।
সালাম মুর্শেদী ফিফার প্রকাশ করা ৫১ পাতার প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন সেখানে কিন্তু আমাদের ফিন্যান্স কমিটি নিয়ে কোনো কথা নেই। আসলে ফিফা ও এএফসি থেকে যে ফান্ড আসে তা খাত অনুযায়ী আমরা খরচ করবো। আমরা চেষ্টা করি ক্যাশ খরচ যতটা কমিয়ে আনতে পারি। এরই মধ্যে আমরা ক্যাশ পেমেন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট পেমেন্টে চলে গেছি প্রায় ৯৮ ভাগ। সোহাগ যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তা তদন্ত করার জন্য বাফুফের যে অডিট কমিটি আছে তার সঙ্গে আরো তিনজন যোগ করে দিয়েছি। তারা হলেন জাকির হোসেন চৌধুরী, ইলিয়াছ হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু। এর সঙ্গে থাকবেন চার সহ–সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, মহিউদ্দিন মহি, ইমরুল হাসান।
তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন সাধারণ সম্পাদক নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে আমরা জরুরি সভা করেছি। আমরা একটা স্পেশাল কমিটি করেছি। যে জিনিসগুলো হয়েছে তা তদন্ত করার জন্য। ১০ জনের কমিটি করেছি। আমাদের একটা ইন্টারনাল অডিট কমিটি আছে। এই দুটো কমিটি মিলে পরবতী ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। সেটা পরিপূর্ণ রিপোর্ট হবে। যার মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে কী ঘটেছে। একটু ধৈর্য্য ধরেন। আপনাদের যেমন জিনিসটা পছন্দ হয়নি, তেমন আমাদেরও পছন্দ হয়নি। এটা নিশ্চিত করতে চাই এমন ঘটনা যেন আর কোনোদিন না ঘটে।