সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের অন্তহীন বিষাক্ত আচরণের সমালোচনা করে ডচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল বলেন, দুই সন্তান আর্চি ও লিলিবেট গর্ভে থাকার সময় তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বুলিং এবং হেনেস্তার শিকার হয়েছিলেন। বিবিসি জানায়, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে টেক্সাসের অস্টিনে বার্ষিক এসএক্সএসডব্লিউ ফেস্টিভ্যালে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় এভাবেই নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান। খবর বিডিনিউজের।
বলেন, নিজের ভালোর জন্যই তিনি এখন ওই ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারি নিজেও দর্শকসারিতে বসে স্ত্রীর কথা শুনেছেন। লোকজন মিডিয়ার কিছু কিছু জায়গায় এবং ডিজিটাল দুনিয়ায় মানুষ হিসেবে নিজেদের মনুষ্যত্বকে ভুলে যায় বলেও মন্তব্য করেন মেগান। বলেন, আর্চি ও লিলি যখন আমার গর্ভে ছিল পস সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনে আমাকে ভয়াবহ বুলিং ও হেনেস্তার তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আপনার মনে শুধু এটাই আসবে এবং আপনি মাথা ঠুকে ঠুকে ভাবতে থাকবেন কেনো মানুষের মন এতটা ঘৃণায় পূর্ণ–এটা শুধু হিংসা নয়, এটা নিষ্ঠুরতা। ওই অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল বাধ ভাঙো, আখ্যান গড়ো: কিভাবে নারীরা স্ক্রিনের সামনে এবং স্ক্রিনের বাইরে নেতৃত্ব দেয়। ৪২ বছর বয়সী মেগান বলেন, অনলাইনে নারীরা যেভাবে একে অন্যের প্রতি ঘৃণা ছড়ান তা তার কাছে খুবই বিরক্তিকর।
আমি এর কারণ বুঝতেই পারি না। একজন নারী সম্পর্কে ভয়ানক কিছু লেখা যদি আপনার চোখে পড়ে, সেটা কেনো আপনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেন? যদি সেটা আপনার বন্ধু, মা বা মেয়েকে নিয়ে হতো তবে কি আপনি এমনটা করতেন? ডিজিটাল দুনিয়ায় এবং মিডিয়ার কিছু অংশে যা ঘটছে তাতে আমার মনে হচ্ছে আমরা এই মুহূর্তে সেই টুকরোটি হারিয়ে ফেলেছি–আমরা আমাদের মনুষ্যত্বের কথা ভুলে গেছি এবং এটা পরিবর্তন করতে হবে।
রাজ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে দূরে চলে যাওয়ার কারণে মেগানকে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েডগুলোতে তার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছেন মেগান।












