চলতি বছর প্রায় নিশ্চিতভাবে এক লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম হতে পারে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। গেল মাস ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বের উষ্ণতম অক্টোবর ছিল। তথ্যে এমনটি পরিষ্কার হওয়ার পর গতকাল বুধবার এ কথা জানান তারা। এর আগে অক্টোবরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু গেল অক্টোবর ব্যাপক ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে, জানিয়েছে ইইউ কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস)। খবর বিডিনিউজের।
সিথ্রিএসের উপপরিচালক সামান্থা বার্জেস বলেন, শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ব্যবধানে রেকর্ডটি ভেঙেছে, যা বিশাল একটি মার্জিন। তিনি অক্টোবরের তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিকতাকে ‘চরম’ বলে অভিহিত করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই উষ্ণতা মানুষের কার্যকলাপ থেকে হওয়া ধারাবাহিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চলতি বছরের এল নিনো আবহাওয়ার ধরন, যা প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশের উপরিতলের পানিকে উষ্ণ করে তুলেছে।
বৈশ্বিকভাবে অক্টোবরের পৃষ্ঠ বায়ু তাপমাত্রার গড় ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের একই মাসের উষ্ণতা থেকে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৮৫০ থেকে ১৯০০–কে কোপার্নিকাস প্রাক–শিল্প সময়কাল বলে নির্ধারণ করেছে।
সিথ্রিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেকর্ড ভাঙা অক্টোবরের অর্থ ২০২৩ সাল এখন প্রায় নিশ্চিতভাবে রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর হতে পারে। আগের সবচেয়ে উষ্ণতম বছরটি ছিল ২০১৬, সেটিও আর একটি এল নিনো বছর।
বার্জেস বলেছেন, আমরা যখন আমাদের তথ্যগুলো আইপিসিসিরগুলোর সঙ্গে একত্রিত করি, তখন আমরা বলতে পারি যে চলতি বছরটি গত ১২৫০০০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিজ্ঞানের প্যানেল আইপিসিসিতে বরফের কেন্দ্র দেশের, গাছের চক্রের ও প্রবাল সঞ্চয়ের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত দীর্ঘমেয়াদি তথ্যের ভাণ্ডার আছে। অক্টোবরের আগে ২০২৩–এর আরেকটি মাস এ ধরনের বড় ব্যবধানে তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছিল, সেটি ছিল সেপ্টেম্বর।
দেশগুলো ধাপে ধাপে নির্গমন কমাতে ক্রমবর্ধমান উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ২০২২ সালে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে।