এবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের মতো সন্দ্বীপের দীর্ঘাপাড় থেকে উড়ির চর প্রান্তে আসার পথে ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বামনী নদীর মাঝপথে স্পিডবোটে আসা সাত-আটজনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারে থাকা যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে।
এ সময় ডাকাত দলটি তাদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ মালামাল ছিনিয়ে নেয়। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াই টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর দুইটা নাগাদ সন্দ্বীপ দীর্ঘাপাড় থেকে কাঠের ট্রলারটি উড়িরচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আধঘণ্টা পর ট্রলারটি মাঝ নদীতে গেলে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল স্পিডবোটে এসে ট্রালারটিকে আটক করে ট্রালারে থাকা যাত্রীদের নগদ টাকা, মুঠোফোনসহ মালামাল নিয়ে চলে যায়।
ট্রলারে থাকা যাত্রী মোঃ শাহাদাত আজ সকালে আজাদীকে বলেন, আমি আমার ঘর দেওয়ার জন্য সন্দ্বীপে আমার আত্মীয় থেকে প্রাপ্ত সাত লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় মাঝ নদীতে ডাকাতরা এসে আমার টাকা নিয়ে যায়।
ট্রলারে থাকা আরেক যাত্রী মোঃ জাবেদ জানান, জলদস্যু শাহীনের নেতৃত্বে জলদস্যু নুরনবী, আশ্রাফ, কামাল, ছোট্টন, আকতার, নুরে আলম অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি করে চলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতি করতে আসা ডাকাতদের স্পিডবোটের মালিক কোম্পানিগঞ্জে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক।
এ ব্যাপারে রাজ্জাক চেয়ারস্যানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি।
স্পিডবোটের মালিকানা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ঘাটে একটা বোট আছে তবে আমি সে বোটের মালিক ন। মালিক হচ্ছে শেখ বেলাল।
তিনি আরও বলেন, কোনো অপরাধীর ব্যাপারে আমার আপোষ নেই।
ঘটনার সময় যাত্রীদের মধ্যে কোন এক জনের মোবাইল ফোনে ধারনকৃত ভিডিও এখন ছড়িয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় কোন মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নৌ পুলিশ তদন্ত করবে।