সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ২৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে সোনার বাংলা ট্রেনে চালু হচ্ছে ক্যাটারিং সার্ভিস। এবার বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়নি। চলবে রেলওয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। দামও টিকিটের সাথে আগের মতো অন্তর্ভুক্ত থাকছে না। যাত্রীরা যে যার মতো করে ট্রেন থেকে কিনে খাবেন।
এব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম আজাদীকে জানান, রেলভবনে আজকের (১৯ নভেম্বর) মিটিংয়ে সোনার বাংলায় ক্যাটারিং সার্ভিস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেলওয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এটি চলবে। তবে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার খাবারের মূল্য আগের মতো টিকিটের সাথে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই গুণগত মানসম্পন্ন খাবারের দাম নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, যখন পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে চুক্তি ছিল তখন টিকিটের সাথে খাবারের ১৯৫ টাকা যুক্ত ছিল। গত জুন মাসে পর্যটন সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে যাত্রী থেকে খাবারের টাকা নেয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র টিকিটের মূল্যই নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২০১৬ সালের ২৫ জুন লাল-সবুজের নতুন ট্রেন সোনার বাংলা যাত্রার শুরু থেকেই যাত্রীদের মাঝে খাবার সরবরাহ করে আসছে পর্যটন কর্পোরেশন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে যাত্রীদের মাঝে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সোনার বাংলা এঙপ্রেস মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ৬দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। বিলাস বহুল লাল-সবুজ কোচের বিরতিহীন এই ট্রেন ঢাকা থেকে যাত্রাপথে শুধু বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়া আর কোনো স্টেশনে দাঁড়ায় না। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ১০/১৫ মিনেটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছায়। ১৬টি কোচের এই ট্রেনে স্নিগ্ধা (শীতাতপ চেয়ার), শোভন চেয়ার, এসি বাথ মিলিয়ে ৭৪৬টি আসন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টায় কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে ১২টা ১০/১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছায়। একই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ে বিকাল ৫টায়। ঢাকা পৌঁছে রাত ১০টা ১০/১৫ মিনেটে।