নগরীর সদরঘাট এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আরাফাত ট্রেডিং সোডা অ্যাশ ঘোষণায় তিন কন্টেনারে আমদানি নিষিদ্ধ সোডিয়াম সাইক্লোমেট বা ঘনচিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিন ও সাইট্রিক অ্যাসিড নিয়ে আসে। এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক এক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার উপ–কমিশনার মো. সাইফুল হক এক বিবৃতিতে জানান, কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার প্রতিষ্ঠান এম এস আরাফাত ট্রেডিং চীন থেকে সোডা অ্যাশ আমদানির ঘোষণা দেন। এমভিএসআই কুইমিং জাহাজে আসা এসব পণ্য খালাস করার জন্য চট্টগ্রাম ইপিজেডের বেসরকারি ডিপো আইসিডি কিউএনএস কন্টেনার সার্ভিসেস লিমিটেডে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কাস্টমসের কড়া নজরদারির কারণে আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার তিনটি বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতি এসব পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। সেখানে সব বস্তায় সোডা অ্যাশ লাইট লেখা পাওয়া যায়। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় এর মধ্যে মাত্র এক মেট্রিক টন সোডা অ্যাশ পাওয়া যায়। বাকি বস্তাগুলো কেটে ৬০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ফুড গ্রেডের পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঘন চিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিন ও সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।