ফটিকছড়িতে হযরত গাউসুল আজম শাহ সুফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান আল্ হাচানী আল্ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১৬৩তম বার্ষিক খোশরোজ শরীফ হাজার হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে উদযাপিত হয়েছে।
ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবারের গাউছিয়া রহমান মঞ্জিল ও আশেকানে মাইজভাণ্ডারী এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৩দিন ব্যাপী খোশরোজ শরীফ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়। ওরশ উপলক্ষে দরবারের বিভিন্ন মঞ্জিল পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে। এর মধ্যে রহমান মঞ্জিলের উদ্যোগে গাউছুল আজম বাবা ভাণ্ডারীর (ক.) রওজায় গোসল, খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, মিলাদ মাহফিল, জিকির করা হয়। সমাপনী দিবসে মুসলিম উম্মাহর ও বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য সুখ শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের শাহ্জাদায়ে গাউসুল আজম মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর আল্ হাচানী আল্ মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, কোরআন–সুন্নাহর আলোকে সবাইকে জীবন গড়তে হবে। নামাজ পড়তে হবে, হালাল উপার্জন করতে হবে। মাইজভাণ্ডারী দর্শন হচ্ছে– ঐশী প্রেমবাদ ও মানবতাবাদী দর্শন। এ দর্শনে সবার উপরে রয়েছে মানুষ। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করাই মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের জীবন সাধনার মূল লক্ষ্য।