করোনা সংক্রমণ রোধে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। দুদিন আগেও হাজারো পর্যটকের মুখরতা ছিল সৈকতজুড়ে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সেখানে আবারও ভর করেছে নির্জনতা। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। ফলে গতকাল সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী, ডায়বেটিক পয়েন্টসহ সকল প্রবেশদ্বার।
গতকাল দুপুরে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইফগার্ড কর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। বন্ধের ঘোষণা জানা না থাকায় অনেক পর্যটক এদিন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। বিচকর্মী সৈয়দ নুর বলেন, পর্যটকদের সৈকতে নামতে দেয়া হচ্ছে না। তবে অনেকে এখনো পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা জানে না। এ কারণে সৈকতে চলে আসছেন। তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রথমদিনে সৈকতের পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানান সৈয়দ নুর। এছাড়া দূরের পয়েন্টগুলো ব্যবহার করে লোকজন সৈকতে নামছেন বলে জানা গেছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে চলে গেছে। আপাতত সমস্যা হলেও পর্যটকদের নির্দেশনা মানতে হবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কক্সবাজারের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হার ছিল দৈনিক ৩-৪ জন। এখন লোকসমাগম বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। দৈনিক ৩০-৪৫ জন শনাক্ত হচ্ছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সংক্রমণ রোধে আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।