একজন শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ পেরিয়ে নির্ধারিত সময়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তার পরিবার তাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। অনেক বাবা মা কষ্ট করে একবুক আশা নিয়ে সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করায় ভবিষ্যতে সংসারের হাল ধরার জন্য। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে টিউশনি করে অনেক কষ্টে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যায়।
একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করতে অনেক বছর চলে যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠে। বিগত বছরে করোনা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই বছরের মতো নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া নানা অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে তাদের ক্লাস, ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হয়। এতেও লেখাপড়া ব্যাহত হয়। কিছুদিন আগে সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর কোটা আন্দোলন এবং বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ কমে গেছে। অনেকের একটা পরীক্ষা হয়ে বাকিগুলো স্থগিত করা হয়েছে। অনেকের আবার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা থেমে আছে। এই সেশনজটের কারণে একজন শিক্ষার্থীর চাকরির নির্ধারিত সময় সীমাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তার ভবিষ্যৎ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। তাই আর দেরি না করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে ক্লাস, পরীক্ষা শুরু হলে সবার জন্য ভালো হবে। এমনিতেই ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিতে দিতে অনেকটা সময় চলে যায়। তা–ও কারো কারো ভাগ্যে সরকারি চাকরি সোনার হরিণের মতো। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটের কবলে না পড়ে সে কামনাই রইলো।