সেলফির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ : তথ্যমন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি ও ছবি প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ছবি তো অনেক কথা বলে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের সেলফির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো, ঘনিষ্ঠ এবং এটি আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হবে।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বিটিভি থেকে বিএফডিসিকে জমি হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের সেলফি রাজনীতিতে কি বার্তা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাইডলাইনে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এবং ছবি তো অনেক কথা বলে। ছবি নিয়ে তো অনেক গবেষণাও হয়। আপনারা ছবি তোলেন, সেই ছবি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, ছবি অনেক কথা বলে। গতকালের ছবির ভাষা আপনি সাংবাদিক হিসেবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এবং যারা বোদ্ধা তারাও বুঝতে পারছেন যে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো, ঘনিষ্ঠ এবং এটি আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হবে। খবর বাংলানিউজের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জি২০ এর সদস্য নয়। জি২০ এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও জি২০ এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সেটির বিস্তারিত তারা ফিরে এলে আপনারা জানতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়েছে, শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। সেখানে কুশল বিনিময়সহ আলোচনাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে, সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত সফল সফর হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসবেন। ক’দিন আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের সরকারের সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যে সুসম্পর্ক সেটি এগুলোতেই প্রমাণিত হয়। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুদিন ধরে নিরাপত্তা সংলাপ হয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ যারা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব সমপ্রদায়ের কী সুসম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে, সেটি আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য দুই দেশ কাজ করছে।

বিএনপি মহাসচিব স্বীকার করেছেন এক দফা আদায় সম্ভব নয় : বাসস জানায়, তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গতকালের (শনিবার) বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে, তাদের এক দফা আন্দোলনের দাবি আদায় সম্ভবপর নয়। এটি যে অসম্ভব, এটি যে কঠিন কাজ, তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এক দফার আন্দোলনের সামনে কঠিন সময় আসছে। উনারা তো বহু আগে থেকেই এক দফা আন্দোলনের মধ্যে আছেন। সেটি একবার গরুর হাটে মারা গেছে, তারপর আগস্ট মাসের আগে জোর এক দফা আন্দোলন শুরু করবে বলেছিল সেটিও হালে পানি পায়নি। এখন তাদের আন্দোলনের হাট তো ভেঙে গেছে। শুধু কর্মীদেরকে চাঙ্গা রাখার জন্য তারা এ সমস্ত কথাবার্তা বলছে।

. ইউনূসের ইস্যুতে সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এমরান ভূঁইয়ার মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় চাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন দূতাবাসে তিনি গিয়েছিলেন, কিন্তু আশ্রয় পাননি। অপেক্ষা করে গেট থেকে চলে এসেছেন। অনেকেই বলছে যে, তিনি হয়তো সপরিবারে মার্কিন ভিসা চাচ্ছেন, সেই কারণে এবং আলোচনায় থাকার জন্য এই নাটকটি সাজিয়েছেন। এতে প্রমাণিত যে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ সরকারি কাজকর্মের সাথে যুক্ত আছেন। বিএনপি যে বলে বেছে বেছে শুধু দলীয় কর্মীদের আমরা বিভিন্ন জায়গায় পদে বসিয়েছি, সেটি যে সঠিক নয়। এই ঘটনার মধ্যেই তা প্রমাণিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেলফিটা বাঁধিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধদিল্লির এক সেলফিতেই বিএনপির রাতের ঘুম হারাম : কাদের