দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বলেছিলেন তাদের প্রথম লক্ষ্য প্রথম ম্যাচটি জেতা। সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিততে পারতো। কিন্তু ইংল্যান্ডকে বাগে পেয়েও হারানোর সুযোগটি হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও সেমি–ফাইনালে চোখ রাখছে বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ডের কাছে হারকে পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে স্বপ্নের পথে ছুটতে চান নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খানরা। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ১০ বছরের জয়–খরা কাটাতে পেরেছে নিগার সুলতানার দল। তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলার পর চার দিনের বিরতি। এই সময়টায় নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে দল। দুবাইয়ে অনুশীলনের ফাঁকে দলের সফলতম বোলার ও সহ–অধিনায়ক নাহিদা আক্তার বললেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ভুলগুলো শুধরে তারা সামনে তাকাচ্ছেন। গত ম্যাচের হারটা অবশ্যই আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। খারাপ লাগার একটি জায়গা। এই কয়দিনে আমাদের যে অনুশীলন সেশন চলছে, আমরা চেষ্টা করছি ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার এবং কিভাবে আরেকটু উন্নতি করা যায় এবং ম্যাচে তা কাজে লাগানো যায়।
বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ জিততেই ১০ বছর লেগে গেছে বাংলাদেশের। সেমি–ফাইনালে খেলার স্বপ্নটা তাই বাস্তবতার নিরিখে নাগালের বাইরেই হওয়ার কথা। শক্তি–সামর্থ্যের বিচারেও আসরের শীর্ষ চার দলের মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে না নিশ্চিতভাবেই। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন ও উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা অসম্ভব নয় বাংলাদেশের জন্য। বোলাররা তো ম্যাচের পর ম্যাচে ভালো করেই চলেছেন। ব্যাটাররা নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে পারলে পরের দুই ম্যাচে জয় পাওয়া সম্ভব। নাহিদা বললেন, সেই বিশ্বাস নিয়েই তারা সামনে তাকিয়ে আছেন। আজ বৃহস্পতিবার ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে এক ধাপ এগোতে চান তারা। তিনি বলেন যেহেতু আমরা সেমি–ফাইনাল খেলতে চাই, সে জন্য এই দুটি ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। পরের ম্যাচ আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আমরা এই ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছি । কিভাবে জিততে পারি। আমরা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে পারি, তাহলে সেমি–ফাইনালে যাওয়াটা সহজ হবে আমাদের জন্য। সব দিক থেকেই আমাদের মনোযোগ পরের ম্যাচে। এই ম্যাচে আমরা শুধু ভালো করার জন্য নয় বরং জয়ের জন্য নামব আমরা এবং জেতার জন্য যা যা করা দরকার চেষ্টা করব করার। নাহিদার মতোই স্পিন আক্রমণের আরেক ভরসা লেগ স্পিনার রাবেয়ার কণ্ঠেও ফুটে উঠল একই প্রত্যয়।
তিনি বলেন খুব খারাপ লাগছে যে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাগালে থাকা একটি ম্যাচ আমরা হেরেছি। অনেক বড় সুযোগ ছিল সেটি। তবে আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী আছি। আশা করি জয়টা নিয়ে আসব। কোনো ভাবাভাবি নেই। আমরা জয়ের জন্যই খেলতে নামব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দিয়েই আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে সেই তিন ম্যাচেই সহজে জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা। এবার শারজাহতে তাদের সঙ্গে ম্যাচটি জিততে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশের নারীরা। আর এই ম্যাচটি শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। এই ম্যাচের গ্রুপ পর্বে আরো একটি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে সে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী শনিবার দুবাইয়ে।