সেমির পথে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

ভারতের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল ভারত। শক্তি, সামর্থ, অভিজ্ঞতা সবাকিছু মিলিয়ে বেশ এগিয়ে রোহিত শর্মার দল। বিশ্বকাপটা শুরু করেছে ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডকেও হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বসে ভারত একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে। অপরদিকে বাংলাদেশ সরাসরি সুপার টুয়েলভ পর্বে খেললেও নিজেদের গায়ে লাগাতে পারেনি ফেবারিটের তকমা। তাই দু একটা ম্যাচ জেতাটাই বাংলাদেশের সবচাইতে বড় লক্ষ্য। অবশ্য সে লক্ষ্য এরই মধ্যে পূরণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। জয় তুলে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কিন্তু এ দুটি দল বাংলাদেশের সম শক্তির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেশ ভাল করেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ ফেবারিটরা কেমন হতে পারে। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে হারে অঘটনের জন্ম হচ্ছে তাতে ফেবারিটদেরও স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই।
দুই নম্বার গ্রুপের তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ এবং ভারত একই সমান্তরালে দাঁড়িয়ে। দু দলেরই রয়েছে দুটি করে জয় এবং একটি করে হার। আর দু দলই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। যদিও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে আজ যে দল জিতবে তারা এগিয়ে যাবে সেমিফাইনালের পথে। গত কয় বছরে বাংলাদেশ এবং ভারত দুদল কঠিন প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে একেবারে শেষ বলে গিয়ে নিস্পত্তি হয়েছে। তাই এখন ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ মানে উত্তেজনা ছড়ায়। এই ম্যাচেও যে উত্তেজনা ছড়াবে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। যদিও পরিসংখ্যান কথা বলছে ভারতের পক্ষে। কারণ দু দলের ১১ মোকাবেলায় ১০টি জয় ভারতের। একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ সবশেষ ভারত সফরে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সুর্য কুমার যাদব, লোকেশ রাহুলদের নিয়ে গড়া ভারতের ব্যাটিং লাইন তান্ডব চালাতে পারে বাংলাদেশের বোলারদের উপর। আবার মোস্তাফিজ, তাসকিন, সাকিবরা যে ফর্মে রয়েছে তাতে ভারতের ব্যাটসম্যানদেরও বেগ পেতে হতে পারে।
ভারত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচাইতে কঠিনতম প্রতিপক্ষ। যদিও এ পর্যন্ত একবার তারা বিশ্বকাপ জিততে পেরেছে। তারপরও এবারের আসরে দলটি এসেছে বিশ্বকাপ জিততে। তাই বাংলাদেশ দলকে ঘঠাতে হবে অঘটন। বাংলাদেশ জিতলে পাওয়ার রয়েছে অনেক কিছু। আর হারলে হারানোর নেই কিছু। তাই একেবারে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ সেটা বলাই যায়। তাসকিন আহমেদের পেসের সাথে সাকিব-মোসাদ্দেকের স্পিন বাংলাদেশের স্বস্তির জায়গা হতে পারে। তবে সবচাইতে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে আগের ম্যাচে মোস্তাফিজের ছন্দ ফেরা। তাই স্বপ্নের জাল বুনাই যায় এই ম্যাচে। কারণ চাপ যদি কিছু থেকে থাকে সেটা ভারতের উপরই থাকবে।
বাংলাদেশ থাকবে চাপমুক্ত। কারণ ভারতের যে পা পিছলানোর কোন সুযোগ নেই। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচের যে দুটিতে জিতেছে সে দুই ম্যাচে বেশ ভালই করেছে টাইগার ব্যাটসম্যান এবং বোলাররা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেমন যেন ছন্নছাড়া ছিল। তবে আগের ম্যাচে দারুনভাবে ফিরেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তাই আশাটা বড় করতে চাইছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান যেমন বলেই দিয়েছেন বাংলাদেশ দল যদি জিতে তাহলে সবাই বলবে অঘটন ঘটেছে। তাই অঘঠনই জন্ম দিতে চায় বাংলাদেশ। আর সে অঘটনের জন্ম দিতে হলে যে ব্যাটে-বলে সমানতালে লড়তে হবে প্রতাপশালী ভারতের বিপক্ষে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিউইদের হারিয়ে টিকে রইল ইংল্যান্ডের সেমির আশা
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড় কেটে আশ্রয়ণ প্রকল্প!