কষ্টার্জিত এক জয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠে গেছে ব্রাজিল। জেসুস লাল কার্ড পেলে ম্যাচের প্রায় অর্ধেক সময় দশ জন নিয়ে খেলে ব্রাজিল। আর এ সুযোগে ব্রাজিলের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে চিলি। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেইমাররা। শনিবার ভোরে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ১-০ গোলে জেতে ব্রাজিল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা। এর দুই মিনিট পরেই স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। ব্রাজিলকে শুরু থেকেই চাপে রাখার চেষ্টা করে চিলি। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথমবার যথাযথ আক্রমণে ওঠে তারা। যদিও ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন এদারসন। ৫ মিনিট পর লেফট উইং থেকে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের দূরপাল্লার শটে বল সরাসরি চলে যায় ব্র্যাভোর গ্লাভসে। ২৭তম মিনিটে ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। ব্রাজিল প্রথম বড় সুযোগ পায় ৩২তম মিনিটে। চিলির রক্ষণের ভুলে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান দানিলো। বঙের সামনে থেকে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৪৩তম মিনিটে জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান চিলির গোলরক্ষক। খেলা গোলশূন্য রেখে বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামা পাকুয়েতা। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে পরাস্ত করেন তিনি। এর দুই মিনিট পর বিপজ্জনকভাবে পা উপরে তুলে চিলির ইউজেনিও মেনার মুখে লাগিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জেসুস।
১০ জনের ব্রাজিলকে চাপে ফেলতে আগ্রাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা চালায় চিলি। বেশ সফলও হয় তারা। অনেকগুলো আক্রমন করে তারা। কিছুক্ষণ পর চিলির হয়ে ফ্রি-কিক জেতেন আরাংগুইজ। ফ্রি-কিক থেকে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দিলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল করেন রেফারি। পুরো ম্যাচে অনেকটা নিষ্প্রভ থাকা নেইমার দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ক্ষিপ্রগতিতে চিলির রক্ষণে ঢুকে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট প্রতিহত করেন ব্র্যাভো।
এরপর চিলির শট বারে লেগে ফিরে আসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিলির আক্রমণের ধার আরও বাড়তে থাকে। তবে বল দখলের লড়াইয়ে চিলি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও ব্রাজিলের জমাট রক্ষণ তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। বরং ম্যাচের শেষদিকে বড় সুযোগ নষ্ট হয় ব্রাজিলের। নেইমারের পাস কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হন পাকুয়েতা। ফলে এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ত্যাগ করে ব্রাজিল।
