সেমিফাইনালে বৃষ্টি হলে সিদ্ধান্ত কি?

স্পোর্টস ডেস্ক

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জুন, ২০২৪ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বকাপ প্রায় শেষের দিকে। আজ একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। তবে দুই সেমিফাইনালের জন্য দুই নীতি গ্রহণ করেছে আইসিসি। প্রথম সেমিফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য নেই। অদ্ভুত শোনালেও এটিই সত্যি। এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নানা বাস্তবতার কারণেই এরকম নিয়ম রাখা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থাও আছে। এরপরও যদি কোনো সেমিফাইনালে মাঠের ক্রিকেটে জয়পরাজয় নির্ধারণ করা সম্ভব না হয়, তাহলে ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করার পদ্ধতিও বেশ আগেই জানিয়ে রেখেছে আইসিসি।

এবারের টিটোয়েন্টি বিশ্‌্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান এবং দক্ষিন আফ্রিকা। ত্রিনিদাদে বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম দিনেই চেষ্টা করা হবে ওভার কমিয়ে হলেও ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও তাই বাড়তি ৬০ মিনিট সময় ধরে রাখা আছে। এমনিতে টিটোয়েন্টি ম্যাচে জয়পরাজয় নির্ধারণ করার জন্য অন্তত ৫ ওভার খেলা হতেই হয়। তবে বিশ্ব আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য নিয়মটি ভিন্ন। এসব ম্যাচে খেলা হতে হবে কমপক্ষে ১০ ওভার করে। তাতেও শেষ না হলে রিজার্ভ ডেতে বাড়তি থাকছে ১৯০ মিনিট সময়। খেলা রিজার্ভ ডেতে গড়ালে শুরু হবে সেখান থেকেই, আগের দিন যেখানে থেমেছিল। খেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায় টস থেকেই। কাজেই টসের পর যদি বৃষ্টিতে সেদিন আর খেলা না হয়, রিজার্ভ ডেতে নতুন করে টস করা বা একাদশ বদলানোর সুযোগ নেই। যদি রিজার্ভ ডেতেও ম্যাচ শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে সুপার এইট পর্বে পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকা দল পৌঁছে যাবে ফাইনালে। অর্থাৎ এই ম্যাচ শেষ না হলে ফাইনালে উঠবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আট টায়। এই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। প্রথম সেমিফাইনাল রাতের ম্যাচ হলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পুরোপুরিই দিনের ম্যাচ। মূলত ভারতে ও এই উপমহাদেশে টেলিভিশন দর্শকদের প্রাইম টাইমে খেলা রাখার জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হোক বা রানার্স আপ, এই দ্বিতীয় সেমিফাইনাল তারা খেলবে। এটিও চূড়ান্ত করা হয় সূচি তৈরির সময়ই। এই ম্যাচের রিজার্ভ ডে না রাখার আনুষ্ঠানিক কারণ আইসিসি ব্যাখ্যা করেনি। তবে কারণটি বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সূচি যে ঠাসা। এই সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাঝে বিরতি কেবল একদিনের। ম্যাচ রিজার্ভ ডেতে গড়ালে জয়ী দলকে খেলতে হবে টানা দুই দিন। সেই পথে কোনো দলকে ঠেলে দেয়নি আইসিসি। তাই এক দিনেই ম্যাচের ফল বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। অন্য ম্যাচের মতো তাই ১৯০ মিনিট নয়, নির্ধারিত সময়ের বাইরে মোট ২৫০ মিনিট বাড়তি সময় রাখা হয়েছে এই ম্যাচের জন্য। বাড়তি সময়েও ম্যাচ শেষ না করা গেলে সুপার এইট পর্বে এগিয়ে থাকায় ভারত চলে যাবে ফাইনালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতকে ভয় পায় না এই ইংল্যান্ড দল
পরবর্তী নিবন্ধইংল্যান্ডের চতুর্থ নাকি ভারতের তৃতীয় ফাইনাল