টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে সবকটি ম্যাচ জয়ের পর সুপার এইটেও টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাতে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রাখল প্রোটিয়ারা। গত রাতে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডিকক, মিলারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর রাবাদা–মহারাজের দারুণ বোলিং প্রোটিয়াদের মেমির পথে অনেকদূর এগিয়ে দিল। বলা যায় সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই পর্ব তাদের আর একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডি কক এবং হ্যান্ডরিক দারুণ শুরু করেন। ৮৬ রান যোগ করেন দুজন। ১৯ রান করা হ্যান্ডরিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মঈন আলী। ৬ রান পর ২৮ বলে ৪৩ রান করা ডি কককে ফেরান আর্চার। ক্লাসেন এবং মার্করাম দ্রুত ফিরলে ১১৩ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ডেভিড মিলার। ২৮ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে স্টাভসের ১২ রানের সুবাদে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার নেন ৩ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড ১৫ রানে হারায় ফিল সল্টকে। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা সল্ট ফিরেন ১১ রান করে। বাটলার–বেয়ারেস্টোর জুটিটা ২৮ রানের বেশি হয়নি। ১৬ রান করে ফিরেন বেয়ারেস্টো। ৬১ রানে পৌছাতে বাটলার এবং মঈন আলীকে হারায় ইংল্যান্ড। এরপর হাল ধরেন ব্রুক এবং লিভিংস্টোন। দুজন মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে আবার ম্যাচে ফেরায় ইংল্যান্ডকে। ১৭ বলে ৩৩ রান করা লিভিংস্টোনকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন রাবাদা। তবে ব্রুকস ছিলেন দুর্দান্ত। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পুরন করার পর ৩৭ বলে ৫৩ রান করে ব্রুকস ফিরলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪ রান। স্যম কারেন এবং আর্চার মিলে ৬ রান নিতে পারেন। আর তাতেই ১৫৬ রানে থামে ইংল্যান্ড। হার মানতে হয় ৭ রানে।