রাফি স্মৃতি মহানগরী জুনিয়র (অনূর্ধ্ব–১৮) ক্রিকেট লিগে সেমিফাইনালে উঠেছে জুনিয়র ট্রেনিং ক্রিকেট একাডেমি এবং বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ। গতকাল শনিবার দামপাড়া পুলিশ লাইনস্ মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় এ জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমি ৩৯ রানে ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে। টসে জিতে ইস্পাহানি প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে। আর ব্যাট করতে নামে জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমি। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমি ১৩৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করে ইসফাজুর রহমান। এছাড়া ইমতিযাজ হক ২৪,মিসবাউল হক ১৭ এবং সোহাইল আনাম ১৪ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১৫। ইস্পাহানীর পক্ষে শাহরাজ জামাল ৩টি এবং ইব্রাহিম ইভান ২টি উইকেট লাভ করে। জবাবে ইস্পাহানী ক্রিকেট একাডেমি সব উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান সংগ্রহ করে। ইস্পাহানীর পক্ষে নুরুজ্জামান মিয়া সর্বোচ্চ ৩৭ এবং আকিল ইবনে আজিজ ১৮ রান করে। অতিরিক্ত রান হয় ১৮। জুনিয়র ক্রিকেট ট্রেনিং একাডেমির জুনায়েদুল ইসলাম,অন্তর চন্দ্র এবং আদিল চৌধুরী প্রত্যেকে ৩টি করে উইকেট নেয়। এতে ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ হয় জুনায়েদুল ইসলাম। তার হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন সাবেক ফুটবলার এবং ক্রীড়া সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু। একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ ৮ উইকেটে মিরসরাই ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে । টসে জিতে বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় মিরসরাই ক্রিকেট একাডেমিকে। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে। দলের আব্দুল্লাহ শাহরিয়া ৪৮ এবং মেহেদি হাসান ৩৩ রান করে। অতিরিক্ত রান হয় ১৩। বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদের পক্ষে মো. ইয়াসিন ৩টি এবং মো. জুনায়েদ ২টি উইকেট লাভ করে।
জবাবে বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ ৯.১ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান তুলে নেয়। দলের নাফিজ আহমেদ ৩৪ এবং মো. জুনায়েদ অপরাজিত ৩৭ রান করে। অতিরিক্ত রান হয় ২৩। মিরসরাইয়ের রাসেল উদ্দিন ২টি উইকেট পায়। বিজয়ী দলের মো. জুনায়েদ ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন দৈনিক পূর্বদেশের ক্রীড়া সাংবাদিক সাইফুল্লাহ চৌধুরী।












