ঈদের বাকি আছে আর দুই তিনদিনের মতো। জামা কাপড় কেনা শেষে ঈদের আগমুহূর্তে গৃহকর্তাদের ছুটতে হচ্ছে সেমাই–চিনির বাজারে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সেমাই চিনির দাম বাড়েনি। দামের দিকে তাই এবারের ক্রেতাদের জন্য অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক। প্রতি বছর ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে সেমাই–চিনি এবং গুঁড়া দুধের দাম বাড়লেও এ বছর ব্যতিক্রম। পেঁয়াজ–রসুন ও আদার দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর রমজানের আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। তাই ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। মাঝখানে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট থাকলেও এখন সেই সমস্যাও কেটে গেছে। ভোক্তারা বলছেন, মুদি বাজারের দাম এবার স্থিতিশীল রয়েছে। এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। প্রশাসনের নজরদারি এবং আমদানি বাড়ার কারণে বাজার সহনশীল রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি এবং ২নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের মুদি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি বাংলা লাল সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত লাচ্ছা সেমাই (২০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা টাকায়। অন্যদিকে কিসমিস প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। এছাড়া চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়।
নগরীর দামপাড়া এলাকার খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ রানা দৈনিক আজাদীকে বলেন, এবার ঈদের আগে মুদি বাজারের কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। গত বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম কমেছে। এ বছর ভোগ্যপণ্যে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কম ছিল। যার ফলে বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী পিয়াল আহমেদ বলেন, অনেক বছর পর ক্রেতারা নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির দেখা পেয়েছে। সেমাই চিনির বাজারে এখন আগের মতো অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আগের বছরগুলোতে দেখা যেতো–বাজার চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতো। চলতি বছর সেমাই চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা থেকে শুরু করে সবপণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে।