মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে গতকাল বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। টাইগারপাসস্থ কার্যালয়ে উক্ত বৈঠকে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ চসিককে ২কোটি ১১লাখ ৩০হাজার টাকা ও চসিক বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে ২ কোটি ১২লাখ ৩০হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করে।
এতে সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ জন্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও বিশেষ করে সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর মধ্যে কাজের অগ্রগতির স্বার্থে সমন্বয় সাধন জরুরি।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নগরীতে প্রধান সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি না থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি রয়েছে। তা যুগোপযোগী না হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন। তিনি বলেন, উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের সাথে একই খুঁটিতে ক্যাবল ও ইন্টারনেট লাইনের থোকা থোকা জট নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট করেছে, এমনকি তা জননিরাপত্তার জন্যও হুমকি স্বরূপ। তাই আন্ডারগ্রাউন্ড সিস্টেম যখনই করা সম্ভব হোক না কেন, রাস্তার উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ত্রুটিমুক্ত এবং ক্যাবল ও ইন্টারনেট লাইন একই খুঁটিতে না করে পৃথক করা প্রয়োজন। মেয়র রাস্তা সম্প্রসারণের পর যে বিদ্যুৎ খুঁটিগুলো অপসারণ হয়নি সেগুলো সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানান।
প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু মেয়রকে অবহিত করেন যে, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবরাহ লাইনের কিছু ত্রুটির কারণে কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মাঝে মাঝে বিঘ্নিত হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যা থেকেই যাবে। তবে আন্ডারগ্রাউন্ড সিস্টেমের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ, পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন, শহিদুল আলম মৃধা, মো. সালেহ আহমেদ, মাহাবুবুল আলম, মো. শাহজাহান প্রমুখ।












