সেন্টার অব এক্সেলেন্স হয়ে উঠেছে সিভাসু

আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা তিন দিনের সম্মেলনে থাকছেন ৫ শতাধিক গবেষক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হই, তা কেবল একটি ডিসিপ্লিন বা সেক্টরের দ্বারা সমাধান করা সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, ইমার্জিং ডিজিজেজ এবং পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রাণী চিকিৎসক, খাদ্যবিজ্ঞানী, মৎস্য বিশেষজ্ঞ, বায়োটেকনোলজিস্ট এবং নীতিনির্ধারকদের একসাথে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ১৭তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা যুক্ত ছিলেন অনলাইনে। সিভাসু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিভাসু যেমন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান তৈরি করছে, তেমনি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতেও কাজ করছে। এটি সুনীল অর্থনীতি, সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার এবং টেকসই জলজ চাষ প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে সিভাসু সত্যিকার অর্থে একটি সেন্টার অব এক্সেলেন্স হয়ে উঠেছে। এটি এখন আর শুধুমাত্র একটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি উদ্ভাবন, ফলিত গবেষণা এবং শিল্পের সাথে ঘনিষ্ঠ অংশদারিত্বের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলিমুল ইসলাম এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতার হোসেন খান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত ভেটেরিনারি এপিডেমিওলজিস্ট এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আলাসডেয়ার অ্যালেক্স জে কুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং সিভাসুর ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসানুল হক।

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, ইমার্জিং ডিজিজেজ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। এসব সমস্যা সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এজন্য আমাদের নলেজ শেয়ার করতে হবে, আইডিয়া শেয়ার করতে হবে এবং নতুন নতুন কোলাবরেশনস করতে হবে।

পরে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও প্রদর্শনী স্টল উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ শতাধিক গবেষক অংশগ্রহণ করছেন। তিন দিনের সম্মেলনে ১৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। আগামীকাল ২৮ অক্টোবর বিকাল ৪টায় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনের বগিতে মিলল ৮ পিস্তল, গুলি ও গান পাউডার
পরবর্তী নিবন্ধনোংরা পরিবেশে খাদ্য রান্না, জামান হোটেলকে জরিমানা