সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ কখনো বন্ধ হয়নি : পরিবেশ উপদেষ্টা

| রবিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ কখনোই বন্ধ করা হয়নি। গতকাল শনিবার রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে মার্ক এঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ হোসেন, বাংলাদেশ নদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এনায়েতুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন। খবর বাসসের।

উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ নিয়ে অনেক অপপ্রচার আছে। কখনই সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করিনি। তবে সেখানে যেতে হলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করতে বলেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে এখনো কারো জন্য বাধা নেই। তবে সেখানে জাহাজ থেকে নেমে দুই ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে পারবে না।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাত্রী যাপনের বিষয়ে ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আমাদের সরকার শুধু সেটা বাস্তবায়ন করছে মাত্র। অর্থাৎ সেন্টমার্টিন দ্বীপে কারো জন্য প্রবেশে বাধা নেই তবে সেখানে দুই ঘন্টার বেশি অবস্থান করতে পারবে না। জাহাজ থেকে নেমে পরিদর্শন করে আবার চলে আসবে। উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সারা বছরই যাতায়াত করা যাবে। তবে বর্ষাকালীন সময় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে যাতায়াতে কিছুটা অসুবিধা হয় বিধায় এই সময় যেতে কিছুটা বিধি নিষেধ আছে। আমরা হাওর, বাওর, খাল বিল নদী রক্ষায় কাজ করছি। ৬৪ জেলায় ৬৪ নদী দূষণমুক্ত করতে আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নিয়েছি। বান্দরবান জেলা ব্যতীত ৬৩ জেলা থেকে প্রতিবেদন এসেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে হালদা করোতোয়া তুরাগ, কীর্তনখোলাসহ ১৮টি নদী দুষণমুক্ত করার জন্য প্রকল্প নিয়েছি। আশা করি ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শুরু করতে পারবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঐক্য রক্ষা না করলে নতুন ষড়যন্ত্র থামানো যাবে না
পরবর্তী নিবন্ধঐক্যবদ্ধ না থাকলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটতে পারে : তারেক