সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের পরিকল্পনা হচ্ছে

সংবাদ সম্মেলনে টোয়াক নেতৃবৃন্দ

টেকনাফ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।
তাই পরিবেশ রক্ষায় কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে সেন্ট মার্টিনে দৈনিক অন্তত ৩ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করার অনুমতি প্রদান সহ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এই সিদ্ধান্ত শুধু বিদেশী পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অভ কক্সবাজার টোয়াক।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কক্সবাজারে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করেন কক্সবাজার টোয়াক সভাপতি তোফায়েল আহামদ।
এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা, দ্বীপের ভাঙ্গনরোধে মূলভূখণ্ডের ৫০০ মিটার দূরে আধুনিক জেটি নির্মাণ, দ্বীপে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে জেনারেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা সহ ১২টি দাবি উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় ট্যুর অপারেটর নেতারা বলেন, মূলত কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্য একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিতকরণের নামে পুরো কক্সবাজারকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
কক্সবাজারে সবকিছু দখল করার যে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে তারই অংশ হিসাবে ধীরে ধীরে সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে চক্রটি।
তাই আপামর কক্সবাজারের মানুষকে পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
এতে সূচনা বক্তব্য সহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন টোয়াক-এর প্রধান উপদেষ্টা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন টোয়াক-এর সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা আশেক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তোহা, যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম কাজল, আল আমিন প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্মীয় আচরণ সমাজকে কলুষিত হওয়া থেকে বিরত রাখে
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে সাগরে গোসল করতে নেমে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু