সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের সচেতন করছে প্লাস্টিকের ‘কোরাল’ ও ‘জেলিফিশ’

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফের মূল ভূখণ্ড শাহপরীর দ্বীপ থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে প্রায় আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম কোনার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন একটি মাছের ভাস্কর্য। সমুদ্রপ্রেমি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় এই সেন্টমার্টিনের সমুদ্র পাড়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে কোরাল মাছ ও জেলিফিশের একটি জনসচেতনতামূলক ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। গাজী জয়নাল আবেদীন নামে এক পর্যটক এটি দেখে মন্তব্য করেছেন, এই ম্যুরাল যেন আমাদের অপকর্ম দিয়ে বানানো চমৎকার শিল্পকর্ম। অনেক পর্যটকই এটি আগ্রহ ভরে দেখছেন এবং কাছে গিয়ে ছবি তুলছেন। প্ল্লাস্টিকের ভয়াবহতা এবং পরিণতি উল্লেখ করে সচেতনতামূলক কিছু তথ্যও লেখা রয়েছে ম্যুরালটির পাশে।

জানা যায়, বিখ্যাত লেখক, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি দ্বারা এই দ্বীপটির পরিচিতি বেড়ে যায়। কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্যসহ নানা আবর্জনার কারণে দ্বীপের পরিবেশ দীর্ঘদিন থেকে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এই কারণে সচেতনতা বাড়াতে পর্যটক, স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দাদের যত্রতত্র ফেলা নষ্ট জাল, বোতল ও চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট দিয়ে কোরাল মাছ ও জেলিফিশের জনসচেতনতামূলক ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদ দ্বীপের সৈকতে পড়ে থাকা বর্জ্য নিয়ে কাজটি গতবছর করেছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে এটি পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে। যা নজর কেড়েছে পর্যটকদের।

ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান আরও বলেন, সেন্টমার্টিনকে আধুনিকায়ন করতে এবং পরিচ্ছন্ন করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ নানা কার্যক্রম নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে করা হয়। তবে আগত পর্যটকদেরও পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়া উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে এক বছরে ৫২৬ জনের আত্মহত্যার রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধগরুর নাচন নজর কাড়ে দর্শকদের