সেন্টমার্টিনে কয়েকশ পর্যটক আটকা

উপকূলে ৪নং সতর্ক সংকেত : জাহাজ চলাচল বন্ধ

টেকনাফ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২০ at ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

বৈরী আবহাওয়ায় বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন পর্যটক জাহাজ। এতে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন কমপক্ষে আড়াইশ’ পর্যটক।
মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) পর্যটকরা ফিরতে পারেননি। বর্তমানে ৪নং সতর্কতা সংকেত বলবৎ রয়েছে কক্সবাজার উপকূলে। সেখানে রয়েছেন ৪ শতাধিক পর্যটক।
এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩শ’ জনের ‘আমার বাজার’ নামে একটি দল তিন দিনের জন্য দ্বীপে ভ্রমণে যায় গত বুধবার। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌছান এসব পর্যটক।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এজন্য সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, “ভ্রমণে এসে সাড়ে তিনশ’ পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছে কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যটকদের মাইকিং করে দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। তারা ইচ্ছে করেই এখানে ভ্রমণ করছে।”
দ্বীপে পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছে উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই তারেক মাহমুদ বলেন, “হোটেল সূত্রে জানা গেছে কমপক্ষে আড়াইশ’ পর্যটক বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। তাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
দ্বীপের বাসিন্দা ও সেন্টমার্টিন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, “সাগর উত্তাল ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপে শত শত পর্যটক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত বুধবার ৩শ’ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের ভ্রমণে আসে সেন্টমার্টিনে। তবে পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন। তাছাড়া সকাল থেকে দ্বীপে থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া বইছে।”
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সেন্টমার্টিনের পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা ফিরবে।”
এদিকে কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ বেশ কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন নৌ রুটে চলাচল করছে।
চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় এখনও টেকনাফ থেকে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআকবারশাহতে কিশোরগ্যাং লিডার ও ছিনতাইকারী গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করা মানুষকে নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং