বান্দরবানের রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
আজ সোমবার রুমার মুনলাই পাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর গুলিতে কেএনএফের ১ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম জানা যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানান, বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সোমবার সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মী (কেএনএফ’র) একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এসময় কেএনএফ’র ব্যবহৃত অস্ত্র- গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজার অপহরণ, রুমায় মসজিদে ও থানচি বাজারে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফের) রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে সাড়াশি অভিযানে চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, আর্মস পুলিশ’সহ যৌথ বাহিনী।
জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনি।
সাড়াশি অভিযানে রুমা মুন্নম পাড়া এলাকায় কেএনএফ’র সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এসময় গোলাগুলিতে কেএনএফ’র বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কেএনএফ’র সশস্ত্র ১ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধা করা হয়েছে কেএনএফ’র ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রও।
এদিকে সাড়াশি অভিযান এবং কেএনএফ’র সশস্ত্র হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়। কেএনএফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয়দের ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের হামলার গুজব ছড়াচ্ছে। এতে করে সরকারি স্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পগুলোসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।